কেরালায় বন্যা: নিহত বেড়ে ৩২৪
শতাব্দীর ভয়াবহতম বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের বাসিন্দারা। গত নয় দিনের অব্যাহত বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৪য়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গৃহহীন হয়েছে আরো ২ লাখের বেশি মানুষ।
এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে ওই রাজ্য সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার কেরলার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক টুইটে বলা হয়েছে, গত ১শ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলা করছে কেরালার বাসিন্দারা। গত ৯ দিনের বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে ৩২৪ জন মানুষ। এদের বেশিরভাগই মারা গেছে ভূমিধসে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচে পড়ে। বন্যার কারণে গৃহহীন হয়েছে আরো ২ লাখ ২৩ হাজার ১৩৯ জন মানুষ। এদের বেশিরভাগ বন্যার্তদের জন্য নির্মিত অস্থায়ী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যায় প্রাণহানির পাশাপাশি সম্পদ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই রাজ্যের ১৪টি জেলার মধ্যে তেরটিতেই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
এদিকে ওই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি স্বচোখে দেখতে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেরালা সফর করেছেন মোদি। তিনি বিমান থেকে বন্যা উপদ্রুত জেলাগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন-ও।
এর আগে বন্যার্তদের সহায়তা দিতে শুক্রবার সকালে তিরুঅনন্তপুরমে পৌঁছেছে ন্যাশানাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ৫ ইউনিট। রাজ্য জুড়ে উদ্ধার কাজে লেগে পড়েছে তিন বাহিনীর সদস্যরা। বন্যা উপদ্রুত গ্রামগুলোতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে মোট ২৪টি টিম।
শুক্রবার কেরালায় পৌঁছেছে এনডিআরএফ-এর আরও ৩৫টি টিম। বন্দিপেরিয়ার থেকে বন্যা কবলিত মঞ্জুমালা গ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়েছে উপকূল রক্ষীবাহিনীর উদ্ধারকারী দলকে। ইতিমধ্যে ওই গ্রাম থেকে ১৬ জনকে উদ্ধার করেছে বাহিনী। উদ্ধার কার্যের পাশাপাশি ত্রাণ হিসাবে শুকনো খাবারও বিতরণ করা হচ্ছে।
বন্যার পানি ক্রমশ বাড়তে থাকায় আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে কোচিন বিমানবন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে কেবল তিরুঅনন্তপুরম এবং কালিকুট বিমানবন্দর। বন্যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে রাজ্যের রেলওয়ে ও সড়ক যোগাযোগও।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএ/
