ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

আরো ঘনিষ্ঠ চীন-নেপাল

আরো ঘনিষ্ঠ চীন-নেপাল

নেপালকে নিজেদের চারটি স্থলবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে চীন। এর ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চারদিকে স্থলবেষ্টিত দেশটি। একই সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের ওপর তাদের নির্ভরতা কমলো কাঠমান্ডুর।

পণ্য আমদানি রপ্তানির জন্য এতদিন ধরে ভারতের কলকাতা ও বিশাখাপত্তনম বন্দরের ওপর নির্ভরশীল ছিল দেশটি। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সীমান্ত সমস্যার কারণে বেশ কয়েকমাস ধরে নেপালে প্রবল জ্বালানি ও ওষুধ সমস্যা তৈরি হয়। পরপর দু বছর এ সংক্রান্ত জটিলতার পরই ভারতের বিকল্প খুঁজতে শুরু করে নেপাল।

শুক্রবার কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ট্রানজিট ও পরিবহন চুক্তি (টিটিএ) স্বাক্ষর করেন চীন ও নেপালের কর্মকর্তারা। এই চুক্তির ফলে চীনের তাইঝিন, সেনঝেন, লিয়ানয়ুগাং ও ঝানঝিয়াং এই চারটি বন্দর ব্যবহার করতে পারবে নেপাল।

বৈঠক শেষে নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রবিশঙ্কর বলেন, এটি একটি মাইলস্টোন চুক্তি। কেননা এর ফলে আমরা ভারতের দুটি বন্দরের পাশাপাশি চীনের চারটি বন্দর ব্যবহার করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন: জাপান, কোরিয়া ও উত্তর এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলি থেকে পণ্য আমদানি করতে চীনা বন্দর ব্যবহার করলে সময় অনেক কম লাগবে। কমবে পণ্য পরিবহনের খরচও। বর্তমানে কলকাতা ও বিশাখাপত্তনম বন্দর দিয়ে নেপালে পণ্য পরিবহন করতে ৩ মাসেরও বেশি সময় লেগে যায়।

তবে চীনের চারটি বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পেলেও তার জন্য নেপালকে বড়সড় খরচের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ নেপাল থেকে চীনের নিকটতম বন্দরের দূরত্ব ২৬০০ কিলোমিটার। ফলে উপযুক্ত অবকাঠামো তৈরি করতে না পারলে চীনা বন্দর ব্যবহারে তেমন লাভবান হবে না নেপাল। এ অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে চীনের সঙ্গে নেপালের এই চুক্তির ফলে আতঙ্কিত ভারত। কেননা, এর ফলে দেশটির ওপর ভারতের দীর্ঘদিনের প্রভাব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও এ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি নয়াদিল্লি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত