মৈত্রী দপ্তর চালু করলো দুই কোরিয়া
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:১৯ আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৫০
উত্তর কোরিয়ার উত্তরাংশের দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তবর্তী কেইসং শহরে যৌথ মৈত্রী দপ্তর চালু করেছে উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে দুই কোরিয়া বিভক্ত হওয়ার পর শুক্রবার প্রথমবারের মতো দুই কোরিয়ার ভেতর আবারো এমন দপ্তর চালু করা হলো। বলা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়াংএ অনুষ্ঠিতব্য দুই দেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের আগে যোগাযোগ এবং বিনিময় সহজ করার উদ্দেশ্যে এ মৈত্রী দপ্তর চালু করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
নতুন এই যৌথ মৈত্রী দপ্তর অফিসে দুই কোরিয়ার ১৫ থেকে ২০ জন কর্মকর্তা কাজ করবে। এতদিন ধরে উভয় দেশের ভেতর যোগাযোগের জন্য শুধু টেলিফোন এবং ফ্যাক্স ব্যবহার করত উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রায়ই ওই সব যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হত।
মৈত্রী দপ্তর উদ্বোধন কালে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া একীকরণ বিষয়ক মন্ত্রী চো মিয়ং গিয়ন বলেন, জটিল সমস্যা গুলো নিয়ে আমরা এখন মুখোমুখি বসতে পারব এবং সেগুলো নিয়ে আমরা আমাদের দুই দেশের ভাবনা সঠিক এবং দ্রুত বিনিময় করতে পারব। এ সময় তিনি মৈত্রী দপ্তর স্থাপনের উদ্যোগকে কোরিয়ার সহ সমৃদ্ধির শুরু বলে অভিহিত করেন।
উত্তর কোরিয়ার কোরিয়া শান্তিপূর্ণ একীকরণ কমিটির চেয়ারম্যান রি সন জিয়ন বলেন, এই অনুষ্ঠানে দুই কোরিয়ার কর্মকর্তাদের ভেতর সরল কথাবার্তা দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।
উল্লেখ্য, কেইসং দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তবর্তী উত্তর কোরিয়ার এমন একটি শহর যেটি দুই কোরিয়ার যৌথ শিল্পাঞ্চল হিসেবে পুরো বিশ্বে সমাদৃত। সেখানেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম মৈত্রী দপ্তর স্থাপন করে আবার কোরিয়ার মৈত্রী যাত্রা শুরু করলো দুই কোরিয়া।
বাংলাদেশ জার্নাল/এআর