ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

সু চি'র নিন্দায় যুক্তরাষ্ট্র

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:০১  
আপডেট :
 ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৫৮

সু চি'র নিন্দায় যুক্তরাষ্ট্র

রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে কারাদণ্ড প্রদানের পক্ষে সাফাই গাওয়ায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা এবং ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি’র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। খবর রয়টার্সের।

বৃহস্পতিবার এক টুইটার পোস্টে হ্যালি বলেছেন, সু চি’র বক্তব্যটিকে তার কাছে ‘অবিশ্বাস্য’ মনে হচ্ছে।

গত বছর রাখাইনে সেনা অভিযানের সময় রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যার তথ্য সংগ্রহের সময় আটক রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গত ৩ সেপ্টেম্বর সাত বছর করে কারাদণ্ড ঘোষণা করে মিয়ানমারের আদালত। রয়টার্সের দুই সাংবাদিকদের কারাদণ্ড দেওয়ার সমালোচনা করে তাদের মুক্তি দাবি করেছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।

তবে বৃহস্পতিবার হ্যানয়ে অর্থনেতিক ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে রয়টার্স সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের পক্ষে সাফাই গান শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি। তাদের কারাদণ্ড দেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সু চি বলেন, সাংবাদিক হওয়ার কারণে তাদেরকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়নি, গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করায় আদালত তাদেরকে কারাদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি আরও বলেন, এই মামলা আইনের শাসনকে সমুন্নত করেছে। সমালোচকদের অনেকেই রায় পড়েননি বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, রয়টার্স সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের পক্ষে সু চি’র সাফাইয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মার্কিন দূত নিকি হ্যালি।

এদিকে ওই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়ে বৃহস্পতিবার টুইটার পোস্টে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি লিখেছেন, ‘প্রথমে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। আর এখন জাতিগত নিধন নিয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী দুই রয়টার্স সাংবাদিকের কারাদণ্ডকে যৌক্তিক দাবি করা হচ্ছে। অবিশ্বাস্য।’

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিথার নোয়ার্ট বলেন, সুচির অনেক মন্তব্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ রায় মিয়ানমারে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’ রয়টার্স সাংবাদিকদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন নোয়ার্ট।

গত বছরের আগস্টে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওই অভিযানে জাতিগত নিধনযজ্ঞের আলামত পেয়েছে। একে গণহত্যার শামিল বলেছে জাতিসংঘ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত