ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

কাশ্মীরে শিকলে বাঁধা বিদ্রোহীর মরদেহ, ছড়িয়ে পড়েছে সেনা ‍বিরোধী বিক্ষোভ

কাশ্মীরে মরদেহের ছবিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়েছে সেনা বিরোধী বিক্ষোভ। ছবিতে দেখা যায়, শিকলে বাঁধা অর্ধ উলঙ্গ এক বিদ্রোহীর রক্তাক্ত মরদেহ টেনে নিয়ে যাচ্ছে সেনারা। কাশ্মীরের মানবাধিকার কর্মীরা এ ঘটনাকে ‘বর্বরোচিত’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের চূড়ান্ত লঙ্ঘন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর জম্মুর রেসি এলাকার কাকরিয়াল জঙ্গলে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আর জাজিরা।

ওই দিন ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষে নিহত হয় তিন বিদ্রোহী। এ বন্দুকযুদ্ধের কিছু সময় পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মরদেহ টেনে নেয়ার ছবিটি প্রকাশিত হয়। সঙ্গে সঙ্গে এটি ভাইরাল হয় এবং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন মানবাধিকার কর্মীরা।

ছবিতে দেখা যায়, কয়েকজন সেনা নিহত ওই স্বাধীনতাকামী যোদ্ধার মরদেহ টেনে নিয়ে যাচ্ছে। লাশের মুখ নিচের দিকে আর শিকলে বাঁধা পা দুটি।

এ ঘটনাকে ‘কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাদের মর্যাদাহানিকর কর্মকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি। তিনি দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন।

এ নিয়ে টুইটারে মিনাক্ষী গাঙ্গুলি লিখেছেন, ‘এ থেকে বোঝা যায়, তাদেরকে (সেনাদের) দায়সারাভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। যে কারণে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ।’

জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মৃতদেহের অঙ্গহানি নিষিদ্ধ। আর ভারত জেনেভা কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ।

তবে এই সব সমালোচনাকে প্রত্যা্যিান করেছে ভারতীয় সেনারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রোববার আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না এ নিয়ে কেন এত আলোচনা হচ্ছে। আপনাকে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তি কেন সেখানে এসেছিল। আর তার সাথে তো এমনটিই হওয়া উচিত।’

তিনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পর তাদের মরদেহ এভাবে টেনে নেয়াকে ‘স্বাভাবিক কার্যক্রম’ও ‘নিরাপদ’বলেও উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘এসব বিদ্রোহীদের দেহের সঙ্গে বিস্ফোরক থাকতে পারে। তাই আমরা তাদের মরদেহে হাত লাগাই না। তাদের পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।’

সূত্র: আল জাজিরা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত