ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

সু চি নিজেকে ‘লজ্জা নিবারণের ডুমুরপত্রে’ পরিণত করেছেন

সু চি নিজেকে ‘লজ্জা নিবারণের ডুমুরপত্রে’ পরিণত করেছেন

মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের একজন সদস্য। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা নির্যাতনের ঘটনা ঢাকতে সু চি নিজেকে লজ্জাজনক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার আইনজীবী ক্রিস্টোফার ডমিনিক সিডোটি বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্মমতা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী চালিয়েছে, তা ঢাকতে গিয়ে নোবেল বিজয়ী সু চি নিজেকে পরিণত করেছে ‘লজ্জা নিবারণের ডুমুরপত্রে’।

ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের ৪০০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন উপস্থাপনের আগে যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জেনিভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে তাদের ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।

আইনজীবী সিডোটি বলেন, মিয়ানমারের নেত্রী সু চি রাখাইনে সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না।

গতবছর ২৫ আগস্ট রাখাইনের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনারা। সেনা নিধনের মুখে ওই এলাকা ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর ফলে এশিয়ার এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সঙ্কট শুরু হয়।

এর আগে তিন সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন আগস্টের শেষ নাগাদ তাদের ২০ পৃষ্ঠার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ওই প্রতিবেদনে মিয়ানমার সেনাদের ওই নৃশংস অভিযানের ভয়াবহতার চিত্র উঠে এসেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ থেকেই রাখাইনের অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটিয়েছে।

আইন প্রয়োগের নামে ভয়ঙ্কর ওই অপরাধ সংঘটনের জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধান এবং জ্যেষ্ঠ পাঁচ জেনারেলকে বিচারের মুখোমুখি করারও সুপারিশ করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।

এই মিশনের নেতৃত্ব দেন ইন্দোনেশিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমান। সদস্য হিসেবে আরও ছিলেন শ্রীলঙ্কার আইনজীবী নারী অধিকার বিশেষজ্ঞ রাধিকা কুমারস্বামী।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক মানবাধিকার কমিশনার ও দেশটির আইন সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য সিডোটি বলেন, সু চি প্রথম যে কাজটি করতে পারতেন তা হল- রাখাইনে গণহারে ধর্ষণের যে বিপুল অভিযোগ এসেছে সেসব ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে না দিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গাওয়া বন্ধ করা।

সু চির সমালোচনা করতে গিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের ওই সদস্য আরো বলেন, ‘২০১৫ সালের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ মানুষের ভোট তিনি পেয়েছেন। এটা তাকে বিপুল নৈতিক সমর্থন দিয়েছে কর্তৃত্ব দিয়েছে। তিনি সেনাবাহিনীর নৃশংসতার লজ্জা ঢাকতে কৌপিনের ভূমিকা নেওয়া বন্ধ করতে পারতেন।’

গতবছর গঠিত জাতিসংঘের এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সদস্যরা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা ৮৭৫ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়ে, নথিপত্র, ভিডিও, ছবি এবং স্যাটেলাইট ইমেজ পর্যালোচনা করে তাদের প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

সূত্র: ইন্টারনেট

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত