ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

রোহিঙ্গা নিধনের তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত

রোহিঙ্গা নিধনের তদন্তে নেমেছে আইসিসি

রোহিঙ্গা সঙ্কটের ওপর প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। পরে এই একই প্রক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাদের বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগের ওপর পুরো তদন্তে নামবে সংস্থাটি।

গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর দমন পীড়ন শুরু করে মিয়ানমার সেনারা। তাদের হামলার মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী।

আইসিসি’র প্রধান প্রসিকিউটর ফাতু বেনসৌদা বলেন, রোহিঙ্গা নিধনের ওপর তারা যেসব যেসব তথ্যাদি যোগাড় করেছেন তা প্রাথমিক তদন্তের জন্য পর্যাপ্ত। এই তদন্ত সত্য প্রমাণিত হলে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে পুরোদমে তদন্তে নামবে সংস্থাটি।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়ন, রোহিঙ্গাদের গ্রাম পুড়িয়ে দেয়াসহ ভয়াবহতম মানবিক অপরাধের অভিযোগ ওঠেছে।

বেনসৌদা বলেন, তার কাছে এমন একাধিক রিপোর্ট আছে যেখানে রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক দেশত্যাগের প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি সংখ্যালঘু ওই মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর যে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, যৌন সহিংসতা, জোরপূর্বক উচ্ছেদ, ধ্বংস ও লুণ্ঠনের মত অপরাধ চালানো হয়েছে; তাদের কাছে সেগুলোরও প্রমাণ রয়েছে।

আইসিসি’র এই ঘোষনার আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট মানবতা-বিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করার এখতিয়ার ওই আদালতের রয়েছে বলে রায় দিয়েছিল আইসিসি। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আইসিসির তিন বিচারকের দ্বারা গঠিত প্যানেল এই রায় দেন।

তখন এই রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিলো মিয়ানমার সরকার। তারা বলেছিল, মিয়ানমার আইসিসির সদস্য না হওয়ায় তাদের নিয়ে বিচারের কোনো এখতিয়ার আইসিসির নেই। আইসিসির ওই সিদ্ধান্তকে ‘ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়া এবং সন্দেহজনক আইনি প্রক্রিয়ার ফলাফল’ হিসেবেও বর্ণনা করেছিলেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট।

তবে আন্তর্জাতিক আদালতের যুক্তি হলো মিয়ানমার হেগ ভিত্তিক এই আদালতের সদস্য না হলেও বাংলাদেশ এর সদস্য। যেহেতু রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি পক্ষ বাংলাদেশও, তাই তাদের এই বিচারের এখতিয়ার রয়েছে।

সম্প্রতি মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের একটি রিপোর্টের কড়া সমালোচনা করার পরই এই ঘোষণা দিলেন আইসিসি প্রধান বেনসৌদা। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সদস্যদের তৈরি ৪৩২ পৃষ্ঠার ওই রিপোর্টে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংক্রান্ত অপরাধের জন্য মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আইসিসি’র প্রধান প্রসিকিউটর ফাতু বেনসৌদা

সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত