মোদীকে ইমরানের চিঠি
দুই দেশের মধ্যে শান্তিস্থাপনের জন্য আলোচনায় বসতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে দ্য ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার মতে, চলতি মাসের শেষে নিউ ইয়র্কে ইউএনজিএ সামিটে উপস্থিত থাকবে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বৈঠকের জন্যও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ইমরান খান।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তা নেবে পাকিস্তান। ক্ষমতায় আসার পর এক ভাষণে এমনটাই বলেছিলেন ইমরান। এরপর মোদি ফোন করে শুভেচ্ছাও জানান তাকে।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে সুষমা ও কুরেশির বৈঠক আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। ইমরানের চিঠিতে এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো এক তরফে বৈঠকের জন্য আবেদন জানানো হলো। টাইমস অব ইন্ডিয়া আরও জানিয়েছে, এই চিঠিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার বার্তা দিয়েছেন ইমরান। পাঠানকোট এয়ারবেস অ্যাটাকের পর থেকেই স্থগিত হয়ে আছে দুই দেশের শান্তি আলোচনা। কাশ্মীর কিংবা জঙ্গিবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছেন ইমরান। এর আগে ২০১৫ সালে শেষবার ইসলামাবাদে এক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুষমা স্বরাজ।
গত ১৭ অগস্ট জয়ী হয়েই ভারতের জন্য সুসম্পর্কের ইঙ্গিত দেন ইমরান খান। জয়ের পরই সাংবাদিক বৈঠকে প্রথমেই কাশ্মীর সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে ইমরান জানান, দ্রুত সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজবেন। আলোচনাই একমাত্র কাশ্মীর সমস্যার সমাধান, তাই আলোচনায় বসেই সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত দেন পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
নবনির্বাচিত পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরের সমস্যা গুরুতর, তবে সমস্যা সমাধানে দুই দেশ মুখোমুখি টেবিলে বসলেই একটা পথ বেরোবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
