ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

কাশ্মীরে ৭ রাইফেল নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার পলায়ন

৭ রাইফেল নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার পলায়ন

কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে সাতটি একে রাইফেলসহ নিখোঁজ হয়েছেন স্থানীয় এক এমপি’র বাসভবনের নিরাপত্তায় নিযুক্ত থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা। নিখোঁজ ওই এসপিও কর্মকর্তার নাম আদিল বশির, বাড়ি শ্রীনগরের সোপিয়ান জেলায়।

তবে কাশ্মীরের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা, আদিল আসলে নিখোঁজ হননি, তিনি পালিয়ে গিয়ে জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছেন।

স্থানীয়সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। তবে তিনি কবে নাগাদ পালিয়েছেন এটি স্পষ্ট নয়। পুলিশের ধারণা, আদিল ওইদিন বা আরো দিন কয়েক আগে পালিয়ে যেতে পারে। তিনি পালানোর সময় সঙ্গে করে সাতটি একে রাইফেল আর একটি পিস্তলও নিয়ে গেছেন।

পালিয়ে যাওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তা আদিল শ্রীনগরের জাওয়াহার নগর এলাকায় পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) আজম আহমেদ মীরের বাসভবন পাহারার দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন।

শুক্রবার তার নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা, আদিল জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দিতেই আগ্নেয়াস্ত্রসহ পালিয়ে গেছে। কেননা শ্রীনগরের জাওয়াহার নগর এলাকাটি অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং সেখানে অনুমতি ছাড়া কোনো সাধারণ লোকজনের প্রবেশ সম্ভব নয়।

এদিকে আদিলের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে কাশ্মীরের পুলিশ বাহিনী। এ কারণে আজম আহমেদ মীরের বাসভবন পাহারায় নিযুক্ত থাকা সকল পুলিশ সদস্যদের আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এ সম্পর্কে শ্রীনগর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইমতিয়াজ বলেন, ‘এঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। এটি অস্ত্র চুরির কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে পুলিশের আরো সদস্যদের জড়িত থাকার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তাদের আটক করেছি।’

সম্প্রতি জঙ্গিদের হাতে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করার পর তাদের হুমকির মুখে জম্মু-কাশ্মীরে গত ১০ দিনে কমপক্ষে ৪০ এসপিও পদত্যাগ করেছে।

তবে কাশ্মীরে এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। ২০১৫ সালের মার্চে দুই রাইফেল নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন কাশ্মীরের সাবেক মন্ত্রী ও পার্লামেন্ট সদস্য আলতাফ বুখারির বাসভবন প্রহরায় মোতায়েন থাকা পুলিশ সদস্য নাসের আহমেদ পন্ডিত। পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিয়েছিলেন। অবশ্য পরে তিনি দক্ষিণ কাশ্মীরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত