খাশোগি নিখোঁজ: সৌদি যুবরাজের ব্যাখ্যা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির গুম হয়ে যাওয়ার ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তারা। তার সঙ্গে প্রথমে টেলিফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার।
পরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সৌদি রাজা সালমানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেন।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, দু’টি সংলাপেই খাশোগির গুম হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে এবং সৌদি সরকারকে এ ঘটনার তদন্তে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারা স্যান্ডার্স বলেছেন, নিখোঁজ সাংবাদিকের ভাগ্যে কি ঘটে তা দেখার জন্য ওয়াশিংটন নিবিড় দৃষ্টি রেখেছে।
গত মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে যান বিয়ে সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে যান খাশোগি। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। গত সপ্তাহের শেষদিকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা জামাল খাশোগি তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
তুরস্কের অভিযোগ, সৌদি সরকারের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশোগিকে সৌদি কনস্যুলেটের অভ্যন্তরেই হত্যা করা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে রিয়াদ সরকার। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।
এই পরিস্থিতিতে খাশোগি হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন যে ১৫ সৌদিকে সনাক্ত করেছিল তুরস্কের গোয়েন্দা বাহিনী, ছবিসহ তাদের নাম প্রকাশ করেছে দেশটির সরকারপন্থি পত্রিকা সাবাহ।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, তুর্কি কর্তৃপক্ষ এখন জামাল খাশোগির লাশবাহী কালো ভ্যান খুঁজছে। কেননা তাদের ধারণা, ওই গাড়িতে করেই খাশোগির মরদেহ ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট থেকে বের করে আনা হয়েছিল
খাশোগির রহস্যজনক নিখোঁজের প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ডিসির সৌদি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে একদল মার্কিন নাগরিক। এ বিষয়ে তদন্ত চালানোর জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির ২২ সদস্য।
এর আগে সৌদি সরকারের প্রতি এ ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
সুত্র: পার্সটুডে
এমএ/