ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাইকেলে নিহত বেড়ে ১৭, শহর ধ্বংস

মাইকেলে নিহত বেড়ে ১৭, শহর ধ্বংস

ঘূর্ণিঝড় মাইকেলের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যটি। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সৈকত-শহর প্যানহ্যান্ডেল। বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা তুলে ধরতে গিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বলেছে, যেন শক্তিশালী একটা বোমা আছড়ে পড়েছে ফ্লোরিডার প্যানহ্যান্ডেলে। মাইকেলের দাপটে প্রায় মুছে গিয়েছে ছবির মতো সাজানো শহরটি। এটি এখন ইট-কাঠ-পাথরেরেএক ধ্বংসস্তূপ ।

বুধবার দুপুরে ফ্লোরিডার প্যানহ্যান্ডেলে আছড়ে পড়ে ক্যাটেগরি-৪ হারিকেন মাইকেল। তবে জর্জিয়া, ক্যারোলাইনা ও ভার্জিনিয়ার দিকে ঝড় যত এগিয়েছে, ততই কমেছে তার শক্তি। ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে সেখানকার জনজীবন। বৃহস্পতিবার শক্তি কমিয়ে ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হয় মাইকেল।

শুক্রবার সকালেও বিদ্যুৎহীন ছিল ফ্লোরিডা থেকে ভার্জিনিয়ার প্রায় ১৫ লক্ষ বাড়ি ও অফিস। ফ্লোরিডার পানামা সিটির মতো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ আসতে প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

মাইকেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফ্লোরিডার প্যানহ্যান্ডেল। শহরের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়টি বয়ে গিয়েছে। এর আঘাতে এক হাজার মানুষের বাসস্থান ওই ছোট্ট শহরতলি পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আকাশ থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায়, রাস্তায় পড়ে রয়েছে গাছপালা ও বিদ্যুতের তার, উল্টে পড়ে রয়েছে গাড়ি, নৌকাগুলো উল্টেপাল্টে এক জায়গায় জড়ো হয়েছে। ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি। গোটা শহরটাই যেন এখন জনমানবশূন্য এক যুদ্ধক্ষেত্র। ওই ধ্বংসস্তূপে প্রাণের সন্ধান পাওয়ার আশায় কুকুর, ড্রোন এব‌ং গ্লোবাল পজিশনিং স্যাটেলাইটের সাহায্য নিচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। এ ছাড়াও ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যন্ত ভারি যন্ত্রপাতি।

শহরে হেলিকপ্টারে উদ্ধারকাজে নেমে ঝড়ের ভয়াবহতা দেখে আঁতকে উঠছেন উদ্ধারকারীরা। এ নিয়ে এক উদ্ধারকারীর বক্তব্য, ‘উপর থেকে দেখে মনে হচ্ছে, যেন একটা বোমা পড়েছে।’

মাইকেলের লেজের ঝাপটায় ভার্জিনিয়ায় বন্যায় ভেসে গেছে চারজন। মৃত্যু হয়েছে এক দমকলকর্মীরও। গাল্‌ফ কোস্ট রিজিওনাল মেডিক্যাল সেন্টারেই ভেঙে পড়েছে ছাদ, গুঁড়িয়ে গিয়েছে জানলাগুলি। বিদ্যুৎহীন হাসপাতালের ভরসা এখন শুধু জেনারেটর।

সূত্র: বিবিসি/ আনন্দবাজার

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত