ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠরাই খাশোগিকে খুন করেছে

সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠরাই খাশোগিকে খুন করেছে

বিখ্যাত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে সনাক্ত করতে পেরেছে তুর্কি পুলিশ। ওই পাঁচজনের চারজনই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ।

মার্কিন পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি পত্রিকা ডেইলি সাবাহ।

সন্দেহভাজন পাঁচ ঘাতক হলেন: মাহের আবদুল আজিজ মুতরেব, আবদুলআজিজ মোহাম্মেদ আল হাওসাবি, গালিব আল বার্বি, মুহাম্মদ সাদ আলজাহরানি ও ড. সালাহ আল তুবাইগি। এদের মধ্যে প্রথম চারজন যুবরাজের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে যান খাশোগি। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তুরস্কের দাবি, ওই কনস্যুলেটের ভিতরেই তাকে খুন করা হয়েছে।

আর পুলিশি তদন্তে ধীরে ধীরে তুরস্কের এ দাবি প্রমাণিত হতে চলেছে। সোমবার রাতে সৌদি কনস্যুলেটে তল্লাশি চালিয়েছে তুর্কি পুলিশ। মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত সৌদি আরবের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ আল-ওতাবির বাসভবনে তল্লাশি চালানোর কথা ছিল তদন্তকারী পুলিশ সদস্রদের্ কিন্তু তার আগেই তুরস্ক থেকে বিমানযোগে রিয়াদ পালিয়ে যান সৌদি কনসাল জেনারেল।

যুবরাজের মাদ্রিদ ও প্যারিস সফরের সময় যুবরাজের সঙ্গে ছিলেন প্রথম সন্দেহভাজন খুনি মাহের আবদুল আজিজ মুতরেব। এমনকি সৌদি যুবরাজ যখন জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান তখনও সঙ্গে ছিলেন ওই ব্যক্তিকে তার সঙ্গে দেখা গেছে। তাদের দুজনের একসঙ্গে একাধিক ছবিও রয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম।

দ্বিতীয় সন্দেহভাজন হাওসাবি যুবরাজের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। তিনি এর আগে রাজ পরিবারে কাজ করেছেন।

সৌদি রয়েল গার্ডের উচ্চ পদে কর্মরত আছেন গালিব আল বার্বি। পাশপাশি তিনি জেদ্দায় যুবরাজের বাসভবনের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিযুক্ত আছেন।

চতুর্থ সন্দেহভাজন মুহাম্মদ সাদ আলজাহরানি-ও সৌদি রয়েল গার্ড বাহিনীর সদস্য।

সৌদি জেনারেল নিরাপত্তা বিভাগের ফরেনসিক এভিডেন্স বিভাগের প্রধান হচ্ছেন সর্বশেষ সন্দেহভাজন ড. সালাহ আল তুবাইগি। খাশোগির খুনের সময় তিনি তুরস্কেই অবস্থান করছিলেন।

তুর্কি পুলিশ খাশোগি হত্যায় জড়িত যে ১৫ জনকে সনাক্ত করেছিল তাদের নয়জনকে সফলভাবে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে তদন্তকারীরা। এদের প্রায় সবাই সৌদি সরকার, সামরিক বাহিনী বা নিরাপত্তার সঙ্গে কোনো না কোনো ভাবে জড়িত আছেন।

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, সন্দেহভাজনরা খাশোগি হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তারা ঘটনার দিন সৌদি কোম্পানির একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে তুরস্ক এসেছিলেন। ওই কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে সৌদি যুবরাজ।

এর আগে মঙ্গলবার এক তুর্কি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, গত ২ অক্টোবর সৌদি কনস্যুলেটের অভ্যন্তরে খুন করা হয়েছিল সৌদি বাদশাহর কট্টর সমালোচক বলে পরিচিত খাশোগিকে। এরপর তার লাশ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত