ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

কলকাতায় ১০ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বইমেলা'র উদ্বোধন

  কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:২১  
আপডেট :
 ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:৪০

কলকাতায় ১০ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বইমেলা'র উদ্বোধন

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি'র যৌথ উদ্যোগে কলকাতার মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে (রবীন্দ্র-সদনের পশ্চিমে) শুরু হয়েছে ‌৮ম ‘বাংলাদেশ বইমেলা কলকাতা ২০১৮’। শুক্রবার বিকালে কলকাতার মোহরকুঞ্জে (রবীন্দ্র-সদনের বিপরীতে) আনুষ্ঠানিকভাবে এই মেলার উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র দেবাশিস কুমার, বাংলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর শামসুজ্জামান খান, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি সভাপতি ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশের লেখক ও গবেষক প্রফেসর রতন সিদ্দিকি, কলকাতার প্রকাশক ও লেখক ত্রিদিব চ্যাটার্জি প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন ‘বাংলা কেবলমাত্র বাংলাদেশের মানুষের ভাষাই নয়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভাষাও বাংলা। তাই বাংলাদেশের লেখকদের বইয়ের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বইমেলা সে আগ্রহ পূরণের কাজটি করে থাকে।’

তিনি বলেন ‘ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্রসার পাওয়ার মুদ্রণ আকারে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এই ধরনের বইমেলার মাধ্যমে মুদ্রণ আকারে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকবে যা আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ তৈরির জন্য খুব জরুরি।’

তার অভিমত ‘যতই প্রযুক্তির বিকাশ হোক না কেন, তার মধ্যেও বইয়ের কদর রয়েছে। বই এখনও প্রকাশিত হচ্ছে এবং বই সংগ্রহের প্রবৃত্তি থাকবে। সর্বোপরি প্রকাশিত বই ধরে যে আনন্দ পাওয়া যায় সেটাও থাকবে বলেই মনে হয়।’

লেখক ও গবেষক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, বই বাঙালির কাছে অনেক প্রিয় একটি বিষয়। তা বাংলাদেশের বাঙালি হোক বা পশ্চিমবঙ্গের। বইয়ের প্রতি সকলেই প্রবল আগ্রহ থাকে।

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি-ঢাকার সম্মিলিত উদ্যোগে দশ দিনব্যাপী এই বইমেলা চলবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলা চলবে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে শনিবার ও রোববার মেলা খোলা থাকবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। মেলার সঙ্গেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা। এতে অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা। মেলায় অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশের ৬৯টি প্রকাশনা সংস্থা।

এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী ফাতেমাতুজ জোহরা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত