ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিমানের মধ্যেও শিশুরা কাঁদতে পারবে না!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:২৬

বিমানের মধ্যেও শিশুরা কাঁদতে পারবে না!

বাচ্চাকে নিয়ে বিমানে কোথাও যাওয়ার কথা ভাবছেন? ভাবছেন ঠিক ম্যানেজ করে নেবেন সমস্ত ঝামেলা? তার আগে একবার জেনে নিন ক্রুপা প্যাটেল বালার কথা। স্বামীর সঙ্গে সদ্য সিডনি থেকে সানফ্রান্সিসকো এসেছেন ফেসবুক সংস্থার এই কর্মচারী। সঙ্গে ছিল তাদের আট মাসের সন্তান।

কিছুক্ষণ পরেই কেঁদে ওঠে শিশু। বিজনেস ক্লাসের যাত্রী ক্রুপা জানাচ্ছেন, কান্নার শব্দ শুনেই একজন বিমানকর্মী এগিয়ে আসেন, অনুরোধ করেন শিশুকে চুপ করাতে। জানান, বাচ্চার কান্না ‘অ্যাবসলিউটলি আনঅ্যাকসেপ্টেবেল’। ক্রুপার অভিযোগ ওই বিমানকর্মী দাবি করেন, ইউনাইটেড ফ্লাইটে পাঁচ মিনিটের বেশি বাচ্চারা কাঁদতে পারে না! ক্রুপা বলেন, ‘ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ট্র্যাভেল করা এমনিই যথেষ্ট কঠিন। তার মধ্যে বিমানকর্মীরা এরকম ব্যবহার করলে তো খুব মুশকিল! বাচ্চা কাঁদলে সব মা-বাবাই সবচেয়ে ভাল উপায়ে বাচ্চাকে থামাতে চেষ্টা করেন। অন্য কারো কথা বলার কোনো দরকারই নেই’!

বিমান থেকে নামার পরে নিজের অভিজ্ঞতা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন ক্রুপা। এর পরে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে অবশ্য ইউনাইটেড ফ্লাইটের পক্ষ থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে চাওয়া হয়।

বস্তুত, ক্রুপা একা নন। বিমানে এর আগে বাচ্চা নিয়ে এরকম নানা সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। কখনো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন বিমানকর্মীরাই, কখনো আবার সমস্যা বাড়িয়েছেন তারা। অনেক সময়ে সহযোগিতার অভাব দেখা যায় যাত্রীদের মধ্যেও। এমনও হয়েছে, কোনো যাত্রী জানিয়েছেন, তার পাশের সিটে বাচ্চা কাঁদছে, তাই তিনি সিট বদলাতে চান। এক্ষেত্রে বিমানকর্মীদেরও কিছু করার থাকে না।

অভিজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চাকে নিয়ে প্লেনে ট্র্যাভেল করতে গেলে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা ভালো। যেমন, বাচ্চার জন্য একটি আলাদা টিকিট কাটা, যাতে তার জন্য একটি গোটা সিট বরাদ্দ হয়। কারণ সারাক্ষণ কোলে-পিঠে থাকার চেয়ে আলাদা সিটে বসিয়ে রাখা তার জন্যও সুবিধাজনক। বাচ্চাকে আরামদায়ক পোশাক পরান, ডায়াপার শুকনো আছে কি না চেক করে নিন। টেক অফ ও টেক অন্যের সময়ে মুখে ফিডিং বোতল রাখুন, যাতে অস্বস্তি এড়াতে পারে সে। সময়ে খাওয়ান, যাতে ভরা পেটে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে থাকে বাচ্চা। বাচ্চার কারণে যদি পাশের সিটের সহযাত্রী অস্বস্তি বোধ করেন, সেক্ষেত্রে সম্ভব হলে ক্ষমা চেয়ে নিন। কারণ সব জায়গায় সব কিছু বোঝানো সম্ভব নয়, অপর পক্ষের দায়ও নেই বোঝার।

যদিও বাচ্চাদের ভাল রাখার কোনো নির্দিষ্ট গাইডবুক হয় না, তবু সামান্য কিছু চেষ্টায় হয়তো আর একটু আরামদায়ক হতে পারে আপনার এবং আপনার বাচ্চার বিমানযাত্রা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত