ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

মিয়ানমারকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে পাকিস্তান

মিয়ানমারকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে পাকিস্তান

রোহিঙ্গা নিধন ও নিপীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। কিন্তু এরপরও মিয়ানমারের প্রতি চীনের অব্যাহত সমর্থন রয়েছে। শুধু চীন নয় মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে আরেক মুসলিম দেশ পাকিস্তানও।

এই দুটি দেশ মিলে কিছু দিন আগেই মিয়ানমারকে সামরিক সহায়াতও করেছে। বিশেষ করে নিজেদের সামরিক সরঞ্জাম রফতানির প্রয়োজনে মিয়নামারকে বেছে নিয়েছে পাকিস্তান। মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে নিজেদের অস্ত্র রফতানিকারক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সচেষ্ট দেশটি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানি দৈনিক দ্য ডন এর এক খবরে বলা হয়, জেএফ-১৭ বিমান বিক্রিতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের আলোচনা অনেক এগিয়েছে।

চলতি বছরের শেষ দিকেই মিয়ানমারের কাছে ওই যুদ্ধ বিমান সরবরাহের কথা রয়েছে পাকিস্তানের। জেএফ -১৭ বিমানটি পাকিস্তান অ্যারোনোটিক্যাল কমপ্লেক্স ও চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট ইন্ট্রাস্ট্রি করপোরেশনের যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। এই যুদ্ধ বিমান ক্রয়কারী প্রথম দেশ হবে মিয়ানমার।

তবে মিয়ানমারকে চীনের সমর্থন করার আরো কারণ আছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, মিয়ানমারকে চীনের এই অব্যাহত সমর্থনের কারণ হচ্ছে, মিয়ানমারে চীনের পদচারণা আরও জোরদার করা এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে পশ্চিমা প্রভাব কমিয়ে আনা।

মিয়ানমারে প্রধান বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে চীন দৃষ্টি নিবন্ধিত হয়েছে বঙ্গোসাগর তীরবর্তী রাখাইন রাজ্যের ক্যাউকফিউর সমুদ্রবন্দরের প্রতি, যা ভারত মহাসাগরে তাদের অবস্থান জোরদার করবে।

গত মে মাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মিয়ানমারের একটি সমুদ্রবন্দরের ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার নিতে চায় চীন। এছাড়া পুরো এশিয়াজুড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি বাড়াতে মিয়ানমারের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের যে উচ্চাভিলাষি পরিকল্পনা চীন নিয়েছে তার অংশ হিসেবে ক্যাউকফিউর গভীর সমুদ্রবন্দরে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার পেতে অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

এসব ছাড়াও মিয়ানমারের ক্যাউকফিউ থেকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের কুনমিং পর্যন্ত অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের পাইপলাইন করতে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করেছে চীন, যা ক্যাউকফিউতে ১০ বিলিয়ন ডলারের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনারই অংশ। এছাড়া চীনের ইউনান প্রদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে চীনের, যদিও বিষয়টি স্থগিত বা পুনর্বিবেচনার পর্যায়ে রয়েছে।

মিয়ানমারে এমন অনেক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ দেশটির সঙ্গে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় জড়িত থাকায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে সরাসরি কিছু বলছে না চীন। এক্ষেত্রে চীনের আশঙ্কা— রোহিঙ্গা ইস্যুতে সম্পৃক্ত হলে সেটা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ 'হস্তক্ষেপ' হিসেবে দেখতে পারে।

আর পাকিস্তান যেহেতু কৌশলগত কারণে চীনের ঘনিষ্ঠ যে কারণে তারাও একই পদাঙ্কা অনুসরণ করছে। সূত্র এশিয়ান এজ ও রয়টার্স।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত