ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ওজন কমাবে যেসব মশলা

ওজন কমাবে যেসব মশলা

ইদানীং বেশ মুটিয়ে গেছেন? আয়নার সামনে দাঁড়ালেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে? খুব স্বাভাবিকভাবেই নিজের কাছে খারাপ লাগার কথা। কারণ সবাই চায় অন্যের চোখে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে।

রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই নানারকম উপায় অবলম্বন করে থাকেন। কেউ কেউ দেখা যায় ওজন কমাতে গিয়ে শুধু সালাড, সেদ্ধ মাছ আর মাংস খাচ্ছেন। কিন্তু এটা খুব ভুল। কারণ, ওজন কমানোর জন্য আপনি সবরকম মশলা খাওয়া অলরেডি বন্ধ করে দিয়েছেন।

আমাদের মধ্যে একটি ধারণা রয়েছে যে, মশলাদার খাবার খেলে সহজেই ওজন বেড়ে যায়। আসলে এ ধারণাটিই ঠিক নয়। কারণ আমরা বাসায় রান্না করা খাবারে যে ধরণের মশলা ব্যবহার করি, আর দোকানে কিনতে পাওয়া মশলাদার খাবারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।

মূলত আমরা খাবার বানানোর সময় এর স্বাদ আর গন্ধ বাড়াতেই শুধু মশলার ব্যবহার করি না। এর অন্য একটি কারণও রয়েছে।

প্রতিটি মশলায় কিছু ঔষধি গুণ থাকে। শরীরের জন্য যা অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া এসব মশলা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

তাই খাবারে প্রয়োজন মত মশলা ব্যবহার করা উচিত। তা না হলেই বরং শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

এবার আমরা জেনে নেব এমন কিছু মশলার নাম যা শরীরের ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক।

আদা

আদা রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আদার মধ্যে মেদ ঝরানোর উপাদান থাকে, যা থার্মোজেনিক নামে পরিচিত। ঠিক এই কারণেই, রান্না ছাড়াও সালাড, চা ইত্যাদির মধ্যে আদা ব্যবহার করে সহজেই কমাতে পারবেন ওজন।

হলুদ

সব ধরণের রান্নাতেই আমরা হলুদ ব্যবহার করে থাকি। এই হলুদের রয়েছ অনেক গুণ। হলুদ দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরায়। ২০০৯ সালে টাফট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ইদুরের ওপর একটি গবেষণা চালান। সেখানে ইঁদুরদের কারকিউমিন খাওয়ানো হয়। এই কারকিউমিন হল হলুদের মধ্যে উপস্থিত এক ধরণের উপকারি উপাদান। আর অন্য কয়েকটি ইঁদুরকে কারকিউমিন খাওয়ানো হয় না। পরীক্ষাটি চলাকালীন দেখা যায় হলুদ হল উষ্ণতা সৃষ্টিকারী একটি মশলা, যা শরীরের ভিতর উৎসেচকের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, হলুদ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। হলুদ অ্যালজাইমার সারাতেও উপকারী।

মরিচের গুঁড়া

অনেকেরই ধারণা শুঁকনো মরিচের গুঁড়া শরীরের জন্য ভালো নয়। এটাও ভুল ধারণা। কারণ, মরিচের গুঁড়া আমাদের শরীরের ভিতর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মরিচের গুঁড়া খেলে দেহে উৎসেচকের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

জিরা

সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রতিদিন এক চা চামচ করে জিরা খেলে অত্তিরিক্ত মেদ তিন গুণ হারে কমে যায়। পৃথিবীর সর্বত্র জিরা খাদ্য তৈরিতে প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। জিরা খাবারের মধ্যে সুগন্ধের সৃষ্টি করে। এর খাদ্যগুণও শরীরের জন্য দারুণ উপকারি।

দারচিনি

গরম মশলার প্রধান উপকরণ হল দারচিনি। দারচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, অতিরিক্ত খিদে কমাতে সাহায্য করে এবং অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকতে সাহায্য করে।

রসুন

রসুন খেয়ে ওজন কমাতে পারবেন খুব সহজেই। আসলে রসুন আমাদের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে নিয়মিত রসুন খেলে সাত সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন কমানো যায়। রসুনের মধ্যে ক্ষতিকারক কোনও উপাদান নেই। তাই রান্নার মধ্যে বেশি পরিমাণে রসুন দিলে তাতে কোনও ক্ষতি হয় না।

ড্যান্ডেলিয়ন

এটি এক ধরণের ফুল। কিন্তু আজ ড্যান্ডেলিয়নএক বিখ্যাত খাদ্য। এই ফুলের বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। যেমন- এর মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে নানা খনিজ উপাদান যেমন- আয়রন এবং পটাশিয়াম।

গোলমরিচ

গোলমরিচ প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট কমায়। এটি নতুন করে মেদ শরীরে জমতে বাধা দেয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

/এসবি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত