ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

সম্পর্কে সহমর্মিতার গুরুত্ব

  সার্জিন শরীফ

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০১৭, ০৪:৪৪

সম্পর্কে সহমর্মিতার গুরুত্ব

সহমর্মিতা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি, যার মাধ্যমে দু’জন মানুষ পরস্পরকে সবচেয়ে ভালভাবে বুঝতে পারে। কেন এই ব্যাপারটি আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ? চলুন জেনে নেয়া যাক।

দু’জন মানুষ যতই ঘনিষ্ঠ হোন না কেন বিভিন্ন বিষয়ে পরস্পরের মধ্যে দ্বিমত হতেই পারে। সেটা হতে পারে রাজনীতি, ধর্ম কিংবা অন্য যে কোনো তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়কে ঘিরে। দ্বিমত পোষণ দোষের কিছু নয়। বরং, এটা হতে পারে সঙ্গীর প্রতি আপনার নিজের সহমর্মিতা যাচাইয়ের একটা সুযোগ।

আসলে ভালবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘সহমর্মিতা’ বলতে কী বোঝায়? প্রথমেই বলে নেয়া ভাল যে, এই ‘সহমর্মিতা’-কে কখনোই ‘সহানুভূতি’ কিংবা ‘সমবেদনার’ সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার সুযোগ নেই। আসলে সহমর্মিতা এমন একটি উপলব্ধি যার মাধ্যমে দু’টি মানুষ পরস্পরকে আরও গভীরভাবে অনুভব করতে এবং একে-অন্যকে আরও ভালভাবে বুঝতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

শুধুমাত্র প্রেমের সম্পর্কই নয় পারিবারিক সম্পর্ক, প্রতিবেশী এমনকি সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে সহমর্মিতার গুরুত্ব অপরিসীম।

কেনো এতটা গুরুত্ব?

বলা হয়ে থাকে যে, পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই যদি পরস্পরের প্রতি সহমর্মী হত তবে পৃথিবী সত্যিই একটা সুন্দর জায়গায় পরিণত হত। কিন্তু যেহেতু পৃথিবীব্যাপী সহমর্মিতা ছড়িয়ে দেয়ার কাজটা একটু দুঃসাধ্যই বটে। তাই ছোট পরিসরে নিজ থেকেই শুরু করা যাক। এই গুণের চর্চা হবে সত্যিকারার্থের এক ‘পুণ্য’।

বিভক্তি নয় চাই সংযুক্তি: কখনও কখনও ঝগড়া থেকে তিক্ততা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, যুগলরা একে-অপরের মুখ পর্যন্ত দেখতে চান না। যেমন- কখন সন্তান নেয়া উচিত এই তর্কে না গিয়ে অনেকেই খাবারের মেনুতে কী থাকছে, এমন ছোটথাট বিষয় নিয়ে তুমুল ঝগড়ায় মেতে ওঠেন। এসব ছোটখাট ব্যাপারে সামান্য একটু ছাড় দিলেই বরং সম্পর্ক মধুর হয়।

পরস্পরকে গুরুত্ব দিন: যখন আপনি আপনার প্রিয়জনের প্রতি সহমর্মি হতে শিখবেন তখনই কেবল আপনি তার হৃদয়কে ভালবাসায় ভরিয়ে তুলতে পারবেন। আপনার ভালবাসার মানুষের পেশাকে নয়, বরং ওই মানুষটিকে গুরুত্ব দিলে তা আপনাদের দু’জনের জীবনকেই আনন্দে ভরিয়ে তুলবে।

ভাল দিকগুলো খোঁজার চেষ্টা করা: যখন আপনি সঙ্গীর প্রতি সহমর্মি হতে শিখবেন তখন আপনি নিজের পাশাপাশি তার মধ্যে থাকা ভাল দিকগুলো খুঁজে বের করতে পারবেন। সঙ্গীর আচরণগুলোকে বোঝার মাধ্যমে আপনি তার নিজস্ব জগতে প্রবেশের আনন্দ পেতে পারেন। যা নিঃন্দেহে উভয়পক্ষের জন্য মঙ্গলময়।

ধৈর্য ধরতে শেখায় সহমর্মিতা: সহমর্মিতার উপলব্ধি উভয়পক্ষকেই ধৈর্য ধরতে শেখায়। এ বিষয়ে কোনোরকম বিতর্কের সুযোগ নেই। মেজাজ হারিয়ে উল্টোপাল্টা না বকে বরং সঙ্গীর বক্তব্যের বিষয়বস্তুকে ঠাণ্ডা মাথায় এবং ভদ্রোচিত উপায়ে বোঝার চেষ্টা করুন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত