ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ফেসবুকের নেশায় আমায় ছাড়ে না!

ফেসবুকের নেশায় আমায় ছাড়ে না!

‘তোমার বাড়ির রঙ্গের মেলায় দেখেছিলাম বায়স্কোপ/ বায়োস্কপের নেশায় আমায় ছাড়ে না।’ দলছুট ব্যান্ডের বিখ্যাত গানের মুখরা এটি। কিন্তু বায়োস্কোপ নয়, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধরেছে ফেসবুকের নেশায়। তাই আজকাল অনেককেই বলতে শোনা যায়, ‘ফেসবুকের নেশায় আমায় ছাড়ে না!

ফেসবুক আসলেই এক চরম নেশা। একবার এই নেশা কাউকে ধরলে আর ছাড়তে চায় না। খাওয়ার মাঝে ফেসবুক। পড়ার টেবিলে ফেসবুক। কাজের মাঝে ফেসবুক। কাজ না থাকলেও ফেসবুক। দিনেও ফেসবুক, রাতেও। শয়নে-স্বপনে ফেসবুক।

আর শুধু তরুণরাই নয়, অনেক মধ্যবয়সীরা মজেছেন এই ফেসবুকের প্রেমে। তাই অনেকের সংসারেও নাকি লেগেছে এর দোলা। হায় ফেসবুক!

ক্লাসে গণিত বা পদার্থের কঠিন থিউরি বোঝাচ্ছেন শিক্ষক। আর ওদিকে কোনায় বসে আপনমনে ফেসবুক চালাচ্ছেন ছাত্র। রেগেমেগে তাকে তাকে ক্লাস থেকে বের কেরে দিলেন শিক্ষক। কিন্তু তাতে তার কিইবা যায় আসে। অনেক অভিভাবককেই আজকাল এ নিয়ে অভিযোগ করতে শুনি। ‘আরে এখনকার বাচ্চারা আছে ফেসবুক নিয়ে। আমাদের যুগে তো কম্পিউটার আর মোবাইল ছিলো না। তাই তো আমরা লেখাপড়ায় মনোযোগী ছিলাম।

আমার এক সহকর্মী সেদিন দুঃখ করে বললেন, ‘জানেন, আমি তো আজ ছেলের এত দামি মোবাইল আছাড় মেরে ভেঙে ফেলেছি। এখন নিজেরই খারাপ লাগছে। আমাকেই তো আবার কিনে দিতে হবে।’

শুধু কি কিশোর-কিশোরী? বড়রাও কিন্তু পিছিয়ে নেই ফেসবুকের নেশা থেকে। তাই আজকাল অনেক তরুণ তরুণী প্রেমে পড়ার পরই তার প্রেমিক/ প্রেমিকার কাছে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড চান। আর কিছু নয়, জাস্ট সন্দেহ। তার পাশাপাশি ফেসবুকে অন্য কারো সঙ্গে চ্যাট করছে কিনা! স্বামী ফেসবুকে বিজি এই অভিযোগে স্ত্রীর বাপেরবাড়ি চলে যাওয়াও কিন্তু বিরল নয়। একই অভিযোগ স্বামীদেরও। ‘সারাদিন বাড়িতে বসে কি কর? সেই তো ফেসবুক গুতাও।’

তবে যাই বলুন, ফেসবুকের মত আধুনিক বিষয়টিকে কিন্তু পুরোপুরি নাকচ করে দেয়া যায় না। এর উপকারও কিন্তু কম নয়। লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, চট করে খবর দেখে নেয়া, কোনো সামাজিক ইভেন্ট তৈরি করা, কেনাকাটা। আসলে সব কাজেই তো ফেসবুক জরুরি। তাই এর সঙ্গে থাকতে হবে। তবে এটা যেন নেশায় পরিণত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত