পিরিয়ড থেকে মুক্তি পেতে ধনে পাতা খান!

ধনে পাতাকে হয়তো আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। খাবারে স্বাদ বাড়াতে তার আগমন। কিংবা মুড়িমাখায় অন্যান্য অনেক কিছুর দোসর হয়ে তবে তার জায়গা। কিন্তু গুণের নিরিখে ধনে পাতা মোটেও হেলাফেলার জিনিস নয়। বরং আলাদা করে তাকে গুরুত্ব দিলে অনেক রোগভোগ থেকে মুক্তি মেলে। যেমন এই ঋতুকালীন যন্ত্রণা থেকে রেহাই।

ঋতুকালের কয়েকটা দিন প্রত্যেকটি নারীর কাছেই যন্ত্রণার। মুক্তি পেতে নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করেন তাঁরা। কখনও বাহ্যিক উপকরণের উপর ভরসা করেই যন্ত্রণা লাঘবের উপায় খোঁজেন। তবে হাতের সামনেই একটি জিনিস আছে, যা কিন্তু ম্যাজিকের মতো এই যন্ত্রণা থেকে উপশম দিতে পারে। তা হল ধনেপাতা।

রাজধানীতে বুধবার যেসব মার্কেট বন্ধ

ধনে পাতার মধ্যে এমন কিছু পদার্থ থাকে যা এন্ডোক্রাইন গ্রন্থির ক্ষরণ নিয়মিত করে। ক্ষরণের ক্ষেত্রে অনেকটাই প্রাকৃতিক অনুঘটকের কাজ করে এটি। এরফলে অনিয়মিত ঋতুর সমস্যা অনেকটাই মেটে। এমনকী ঋতুকালীন যে যন্ত্রণা তা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।

চর্মরোগে যাঁরা ভোগেন তাঁরাও ধনেপাতা থেকে উপকার পাবেন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার কারণে বিভিন্ন ফাংগাল ইনফেকশন বা একজিমা প্রতিরোধ করতে পারে ধনে পাতা। এছাড়া অনেক সময় মুখের ভিতর ক্ষত বা ঘা দেখা দেয়। টুথপেস্টের মতো সেক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করা যায়। অ্যান্টিসেপটিক হওয়ার কারণে ক্ষত সারিয়ে তোলে। এছাড়া মুখের দুর্গন্ধও দূর করে ধনে পাতা। এছাড়া ঘুম না আসার সমস্যা এখনকার দিনের খুব সাধারণ একটি সমস্যা। ধনেপাতা সে রোগও সারাতে পারে। তাই নিছক খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ধনে পাতাকে ফেলে রাখা উচিত নয়। বরং আলাদা করে তার ব্যবহার করলে অনেক আধিব্যাধি থেকেই মুক্তি মিলবে।

ধনে পাতার আরও বেশ কিছু গুণ আছে। যেমন চোখের দৃষ্টিকে স্বচ্ছ করে। ভিটামিন-এ, সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস এবং খনিজ থাকে ধনে পাতায়। আছে ফসফরাসও। ফলে চোখের সমস্যা দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া হজমের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে ধনেপাতা। বিশেষ গন্ধের কারণে এটিকে অনেকেই অপছন্দ করেন। কিন্তু এই গন্ধের কারণেই বিভিন্ন গ্রন্থির ক্ষরণ বাড়ে, যা হজমের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে ওঠে।

এনএইচ/