ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

গোয়া নয়, ঘুরতে পারেন দিউ দ্বীপভূমিতে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ মে ২০১৮, ১৬:৪৭

গোয়া নয়, ঘুরতে পারেন দিউ দ্বীপভূমিতে

চার দিকে সমুদ্র ঘিরে রেখেছে ছোট্ট এই দ্বীপভূমিকে। অসাধারণ সব বিচ। শুধু কি বিচ? রয়েছে চার্চ, আর পাম, নারিকেল গাছের অপরূপ বাহার। এক সময় এই দ্বীপেই ছিলেন পর্তুগিজরা। কি ভাবছেন গোয়া? না শান্ত এই দ্বীপের নাম দিউ।

ভারতের সোমনাথ থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপটি অবস্থিত। আরবসাগরের এক প্রান্তে ৪০ বর্গকিমির এক দ্বীপভূমিতে অবস্থিত। ঘন নীল আকাশের নীচে ঝকঝকে রাস্তাঘাট, ঝাউ, পামের সারি সারি গাছ, নিজেদের ছায়া ফেলে ঘিরে রেখেছে। এখানে আজও বেশ কিছু পর্তুগিজ পরিবার আছেন। তবে তারা গুজরাটি ভাষা ব্যবহার করেন।

রাস্তার মাঝে সারি সারি লাল আর গোলাপি ফুলের বাহার। ডান দিকের ছবির মতো সাজানো ছোট্ট দিউ এয়ারপোর্ট। দেশের নানান প্রান্তের ছোট ছোট ফ্লাইট এখানে ওঠানামা করে। ইতিহাস বলছে, ১৫৩১ সালে পর্তুগিজরা দিউ আক্রমণ করে। তার পর থেকেই সমুদ্রেঘেরা এই ভূখণ্ডকে দুর্গ আর শহর দিয়ে ঘিরে ফেলেন।

এখানে আছে প্রচুর হোটেল। যেখানে পাবেন নানা সি-ফুড, পর্তুগিজ, গোয়ানিজ, চাইনিজ-সহ নানা প্রদেশের খাবার। সাগরের মাঝে জাহাজ আকৃতির বিশাল এক দুর্গ রয়েছে এখানে যার নাম দিউ ফোর্ট। ১৫৩৫-৪১ সালে আরবসাগরের ধারে ৫৬৭৩৬ বর্গমিটারের বিশাল দুর্গটি গড়ে তোলেন পর্তুগিজরা। দুর্গের গায়ে আছড়ে পড়ে অশান্ত সাগরের ঢেউ।

দিউ এ আরেকটি দেখার জায়গা সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চ। ১৫৫৩ সালে পর্তুগিজরা এই চার্চটি নির্মাণ করেন। সাদা রঙের গির্জার কাঠের কাজ অপরূপ। পাশেই আছে মিউজিয়াম। দিউতে আছে বেশ কয়েকটি বিচ। তাই তো দিউকে অনেকেই বিচের আইল্যান্ডও বলেন। নাগোয়া বিচ দিউর সবচেয়ে সুন্দর সৈকত। সাদা বালির সৈকতটি ২ কিমি দীর্ঘ। আফ্রিকাজাত হোক্কা গাছের সঙ্গে মিশে গেছে নারিকেল গাছ।

ওয়াটার স্কুটার, প্যারাসেলিং, স্কুবা ডাইভিং, ওয়াটার স্কি, বাইকিং, কায়াকিং, ব্যানানা রাইডিংয়ের সবই করা যাবে এখানে। অনেক বিদেশিদের কাছেও জনপ্রিয় জায়গা এটি। আপনার থাকার জন্য এখানে থাকার প্রচুর হোটেল। হোটেল রাজ প্যালেস, হোটেল সম্রাট, হোটেল গ্যালাক্সি, হোটেল প্রিন্স আপনি পছন্দ করতে পারেন সুবিধা অনুযায়ী। আরএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত