রমজানে ত্বকের যত্নে কি করবেন?
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ মে ২০১৮, ১০:০৯ আপডেট : ১৯ মে ২০১৮, ১০:৩৮
চলে এলো পবিত্র রমজান মাস। এ বছর রমজান মাসে কাঠফাটা রোদ আবার ঝুম বৃষ্টির আশংকা আছে। তার ওপর রোজা রেখে কাজের চাপের প্রভাব ত্বকের ওপর পড়ে। কিন্তু আপনার একটু সতর্কতা ত্বককে রাখতে পারে সুন্দর আর ঈদের দিনটির জন্য সচেজ। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব? সেটা জেনে নিই এখানে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
ত্বককে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচাতে ইফতার এবং সেহরির মাঝে অন্তত ৮ গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। শুধু পানি খেতে ভাল না লাগলে ফলের রস খেতে পারেন। তবে কখনো অতিরিক্ত চিনিযুক্ত ড্রিংক খাবেন না, কারণ চিনিজাতীয় খাবার কোলাজেন নষ্ট করে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ ফেলতে পারে।স্কিনেজ ডার্মাকেয়ারের ত্বক বিষয়ক চিকিৎসক তাসনিম তামান্না হক জানান, চা-কফি এবং সোডাজাতীয় পানীয় এসময় যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন, কারণ ক্যাফেইনেটেড বেভারেজ ত্বকে পানিশূন্যতা তৈরি করে। একগ্লাস তাজা ফলের রস যেখানে দেহে ৬০% পর্যন্ত শোষণ হয় সেখানে সোডাওয়াটার শোষণ হয় মাত্র ২০%।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ করুন প্রতিদিন আমাদের খাবারের এক চতুর্থাংশ প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট এবং অর্ধাংশ শাকসবজি হওয়া উচিত। কিন্তু সারা বছর না খেলেও রোজার সময় ত্বকের কথা ভেবে এই নিয়ম মানা উচিত।
ভিটামিন সি: ত্বকের গ্লো এবং উজ্জ্বলতার জন্য এই ভিটামিন এর কোনই বিকল্প নেই। তাই ইফতারে রাখুন পেঁপে, কমলা বা লেবুর শরবত।
ভিটামিন ই: ত্বককে ভাজ মুক্ত রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন চিনাবাদাম, কাঠবাদাম বা ব্রকোলির মত পুষ্টিকর খাদ্য। এছাড়াও স্যালাদের সাথে অলিভ অয়েল ব্যবহার করেও ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করতে পারেন।
ভিটামিন এ: ত্বকের রুক্ষতা ও ডিহাইড্রেশন কমিয়ে নরম রাখতে এই ভিটামিন দরকার। সবুজ শাকসবজি এবং গাজরের স্যালাদের মাধ্যমে সহজেই এর অভাব পূরণ করে নিতে পারেন।
ভিটামিন বি: তাসনিম তামান্না হক জানান, ত্বককে বার্ধক্য থেকে বাঁচাতে খাদ্যতালিকায় রাখুন মাছ-মুরগী এবং ডাল। তবে তা যেন অস্বাস্থ্যকর না হয় সেজন্য তেলে ভাজা না খেয়ে বেইকড বা গ্রিলড চিকেন এবং ফিশ খান।
এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ করুন অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবারের পরিবর্তে বাদাম, গাঢ় সবুজ শাকসবজি এই উপাদানের অভাব পূরণ করতে পারেন। ইফতারের পর এক কাপ গ্রীন টি হতে পারে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভাল উৎস।
নিয়মিত স্কিন স্ক্রাবিং করুন ডিহাইড্রেশনের কারণে ত্বকে মরা কোষ বেড়ে যায়। ফলে ত্বকের ধরন বুঝে সপ্তাহে এক থেকে তিন দিন পর্যন্ত স্ক্রাবিং করুন। স্ক্রাবার হিসেবে বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ফ্রুট স্ক্রাবার বা পানি মিশ্রিত ময়দা ব্যবহার করতে পারেন।
২ বার ফেইসওয়াশের সাহায্যে ত্বক পরিষ্কার করুন গরমের সময় অতিরিক্ত তেল ত্বকের মুখ বন্ধ করে ফেলে। আর রোজার সময় পানিশূন্যতার ফলে এ সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই দিনে ২ বার মাইল্ড ফেইসওয়াশের সাহায্যে মুখ পরিষ্কার করা খুবই জরুরী। তবে ২ বারের বেশি ফেইসওয়াশ ব্যবহার করবেন না।
ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুন ত্বককে পানিশূন্যতা থেকে বাঁচাতে ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজারের কোনই বিকল্প নেই। গরম এবং আর্দ্রতার কথা মাথায় রেখে একটি ওয়াটার বেইজড বা জেল ফর্মুলার ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। রোদে বের হওয়ার আগে সানব্লক সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
আরএ/