সমস্যা সমাধানে কলার খোসা
কলা খেয়ে খোসা ফেলবেন না। টাটকা খোসাকে ব্যবহার করতে পারবেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে। বিউটি টিপস থেকে বাড়ির নানা রকমের কাজে সাহায্য করে কলার খোসা।
ত্বকের ব্রুণ দূর করতে ব্যবহার করুন কলার খোসা। খোসার ভেতরের অংশটা ব্রুণর ওপর ভালো করে ঘষসে থাকুন। এক দিনেই ফল পাবেন আপনি। এছাড়া সময় থাকলে কলা খোসাগুলো মিক্সার গ্রাইন্ডারে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। সেটাও একটা মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তাতেও আপনি আশানুরূপ ফল পাবেন।
দাঁত সাদা করতে কলার খোসা যে কার্যকর তা অনেকেই জানেন৷ যারা জানেন না, তাদের বলে রাখি, খোসার ভেতর দিকটা দাঁতে ঘষতে থাকুন। দিন কয়েক এই পন্থা ফোলো করলেই আপনার দাঁতের হলদেটে ভাব চলে যাবে। প্রতিদিন পাঁচ-দশ মিনিট করে ঘষুন। তারপর জল দিয়ে কুলকুচি করে জলটা বাইরে ফেলে দিন। বা ব্রাশও করে নিতেন পারেন৷ কয়েকদিনেই এই প্রক্রিয়া কাজ দেয়।
অধিকাংশ মানুষের সমস্যা হল আঁচিল। ছোট হোক বা বড়ো, আঁচিল দূর করার চেষ্টা সকলেই করেন। তার ওপর মুখে আঁচিল হলে তো আরও বিরক্তিকর। খোসার ভেতরটা আঁচিলের ওপর কিছুক্ষণ চেপে রাখুন৷ সপ্তাহখানেক ব্যবহার করলেই আপনার আঁচিল আপনা থেকেই শুকিয়ে পড়ে যাবে। তবে খেয়াল রাখবেন সাতদিনের মাথায় আঁচিল শুকিয়ে না পড়লে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
সিডি, ডিভিডির ওপর স্ক্র্যাচ পড়ে গেলে তা দূর করুন কলার খোসা দিয়ে। স্ক্র্যাচের কারণে সিডি বা ডিভিডি খারাপ হয়ে যায়, ভিডিও কিংবা অডিও আটকে যায়। সেই সমস্যার সমাধান করবে কলার খোসা। কলার খোসাটির ভেতরটা সিডি, ডিভিডির ওপর ভালো করে ঘষে নিনি। এর ফলে স্ক্র্যাচ তো চলে যাবেই সঙ্গে ভিডিও অডিও পরিষ্কার চলবে।
নানা রকমের পোকা, মশার কামড়ে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। ক্রমাহত চুলকোতে থাকলে ত্বকের কিছু অংশ লাল হয়ে ফুলে যায়। পোকা বা মশা কামড়ালে যদি জায়গাটি জ্বলতে থাকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে খোসার ভেতরটা ঘষে নিন। চুলকানি এবং জ্বালা তো কমবেই আর দাগও হবে না।
জুতো পালিশ দিয়েও অনেক সময় জুতো পরিষ্কার হয় না। তখন বাধ্য হয়ে নোংরা জুতো পড়েই যেতে হয়। সেই জুতোই নিমেষে চকচকে করে তুলবে কলার খোসা। পাকা কলার খোসার ভেতরটা জুতোর ওপর কয়েক মিনিট ঘষুন। তারপর একটা কাপড়ের টুকরো দিয়ে মুছে নিন। দেখবেন জুতো চকচকে হয়ে গিয়েছে।
