ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

গরমে রঙ্গিন বিছানার চাদর

  রিফাত পারভীন

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১১  
আপডেট :
 ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৩০

গরমে রঙ্গিন বিছানার চাদর

বিছানার চাদর এখন শুধু মাত্র প্রয়োজন নয়, আপনার রুচির পরিচায়ক ও গৃহসজ্জার উপকরণ। সারা দিনের ক্লান্তির পর সবাই বিছানায় আয়েশ করে ঘুমাতে চায়। তাই বিছানার চাদরটি হওয়া চাই আমারদায়ক, সুন্দর ও সময় উপযোগী।

মূলত দুই ধরনের বিছানার চাদর রয়েছে। একটি হলো বেড কাভার ও অন্যটি বেডশিট। বেড কাভার সেটসহ হয় অর্থাৎ বালিশের কাভারসহ ও বেডশিট হলো বালিশের কাভার ছাড়া শুধু মাত্র বিছানার চাদর।

বাজারে হালকা ও ভারী দুই ধরনের চাদরই পাওয়া যায়। এছাড়াও বাজারের সাধারণ চাদরের পাশাপাশি দেশিয় শোরুম দেশি দশের নিজস্ব ডিজাইনাদের তৈরি চাদর বেশ জনপ্রিয়। দেশি দশের প্রায় প্রতিটি শোরুমেই ব্লক, বাটিক, টাইডাই, সিল্ক, খাদি, এপ্লিক, নকশি কাঁথার চাদর পাওয়া যায়।

বিবিয়ানার ডিজাইনার লিপি খন্দকার প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের বিছানার চাদরগুলোতে একটি দেশিয় আমেজ রাখার চেষ্টা করা হয়। আর এখানের বেশির ভাগ বিছানার চাদরই সুতি কাপড়ের হওয়ায় ব্যবহার করে আরাম পাওয়া যায়।

তবে যারা একটু ভারী কাজ করা চাদর পছন্দ করেন তাদের জন্য হাতে এপ্লিক, মেশিন এপ্লিক, এম্বোডারী করা সুতি, খাদি ও নকশি কাঁথার বিছানার চাদর রয়েছে। তবে আমাদের বেডশিটের সংখ্যাই তুলনামূলক বেশি।

এছাড়া ফ্যাশন হাউজ নিপুনে হাতে করা ব্লক, কাঁথা ফোঁড়ের বেডশিট রয়েছে। আবার পছন্দ অনুসারে বিছানার চাদরের সাথে মিলিয়ে সিঙ্গেল বালিশের কাভারও কেনা যাবে।

এছাড়া ফ্যাশন হাউজ যাত্রাতে সম্পূর্ণ ভিন্নধারার হাতের সেলাই করা, ব্লক,বাটিকের বিছানার চাদর রয়েছে।

অন্যদিকে দেশি প্রতিষ্ঠান আড়ং এ অনেক আগে থেকেই নিজস্ব ডিজাইনারদের তৈরি বিছানার চাদর পাওয়া যায়। এখানে কিং, কুইন, সেমি ডাবল ও সিঙ্গেল সব ধরনের চাদরই পাওয়া যায়।

আড়ং এর আসাদগেট শাখার বিক্রয়কর্মী লুবনা আক্তার বলেন, সব ধরন ও আকারের চাদর থাকলেও উপহারের জন্য ক্রেতারা ভারী চাদর যেমন কাঁথা ফোঁড়, চুমকি বা ডলার বসানো, সিল্কের উপর একটু রঙ্গিন চাদর পছন্দ করেন। অন্যদিকে নিজেদের ঘরের জন্য কিনলে গরমের কথা ভেবে হালকা রঙ্গই বেশি পছন্দ করছেন তারা।

অন্দরসজ্জাবিদ গুলশান নাসরিন চৌধুরী প্রতিবেদককে জানান, মূল শোবার ঘর, বাচ্চাদের ঘর, অতিথিদের ঘরের চাদর ভিন্ন ভিন্ন কিনতে হবে। অনেকে আবার বসার ঘরেও ছোট বিছানা পছন্দ করেন। হালকা রঙের চাদর চোখে শান্তি দেয়।

তবে গাঢ় রঙ পছন্দ করলে হালকা রঙের উপর রঙ্গিন ফুলের বেডশিট ব্যবহার করা যেতে পারে। বাচ্চাদের ঘরে বেডকাভার না দিয়ে বেডশিট ও মূল শোবার ঘরে বেডকাভার ভাল লাগবে।

কিন্তু বাচ্চাদের ঘরে একেবারেই হালকা রঙের চাদর দেয়া যাবে না। আবার শিশুদের ঘরে বেড কাভার না বিছিয়ে বেডশিট ও ভিন্ন রঙ্গের বালিশের কাভার ব্যবহার করলে সুন্দর লাগবে।

অতিথিদের ঘরে চেক বা স্টাইপ বেডকাভার দিতে পারেন। কিন্তু বসার ঘরে নকশি কাঁথা বা ব্লক করা ভারী বেডশিট দিলে একটি উৎসব আমেজ থাকবে।

এছাড়া নিউমার্কেটে বেডকাভার ও বেডশিট পাবেন। দেশি ব্যান্ড হোমটেক্সের সুতি চাদরগুলো গরমে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছে এখানের বিক্রয়কর্মীরা। তবে হোমটেক্সের চাদর রয়েছে দুই রকম একটি সাধারণ কটন অন্যটি টুইল কটন। টুইল কটন একটু ভারী ও বেশি আরামদায়ক হয়।

গরমে বাজারে ফুলেল প্রিন্টের চাদরগুলোর চাহিদা বেশি। এই প্রিন্টের বা ব্লক করা বেডশিট বেশি জনপ্রিয়। অন্যদিকে চাইনিজ ও ভারতীয় সুতি বেডকাভারও বড় বিছানার জন্য বা উপহারে দেয়ার জন্য অনেকে কিনছে।

বিক্রয়কর্মীরা জানান চাইনিজ বিছানার চাদর তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায় বলে ভারতীয় চাদরের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।

আরএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত