ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ত্বক ফর্সা করা যখন মানসিক রোগের কারণ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:১৯  
আপডেট :
 ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৩০

ত্বক ফর্সা করা যখন মানসিক রোগের কারণ

পৃথিবীর অনেক দেশের মতো ত্বকের সুরক্ষা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নানা রকমের প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাংলাদেশেও। এসব পণ্যে নানা ধরনের রাসায়নিক মিশ্রিত থাকার কারণে বিশ্বজুড়েই প্রসাধনী ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ এসব রাসায়নিক অনেকের ত্বকের জন্য কোন সুরক্ষা বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি তো করতে পারেই না বরং সেটি ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশের ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বক ফর্সা বা উজ্জ্বল করতে গিয়ে অনেকেই ক্ষতির মুখে পড়েন। মুখের ত্বকে দাগ তৈরি হওয়া, রোদ বা তাপ সহ্য না হওয়া, চুলকানি বা লালচে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও তৈরি হয়।

ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারের মনোবিজ্ঞানী ইসরাত শারমিন রহমান বলছেন, সৌন্দর্যের জন্য চেষ্টা করতে গিয়ে যখন সেটি আরো সৌন্দর্য হানির কারণ হয়। আবার অনেকের ওপর মানসিকভাবেও প্রভাব ফেলে।

তিনি বলেন, হয়তো অনেকে তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করে। তখন তার মধ্যে রাগ তৈরি হয়, হতাশা তৈরি হয়। তিনি হয়তো নিজেকে সুন্দর করার চেষ্টা করেন। এটা তার আত্মবিশ্বাসের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেনঃ বাংলাদেশের প্রসাধনী ও রূপচর্চা বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান বলেন, হঠাৎ করে বা অন্যদের দেখে কোন প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত না। কারণ একজনের ত্বকের জন্য সেটি ঠিক হলেও, আরেকজনের জন্য সেটি ভাল নাও হতে পারে।

তিনি আরো বলেন,বাড়িতে তৈরি হারবাল পণ্য ব্যবহার করা ভাল। ডিম, দুধ, মধু, দই, শসা জাতীয় উপাদান ত্বকের জন্য ভাল। তিনি রং ফর্সাকারী ক্রিম সম্পর্কে বলেন, অনেক রং ফর্সাকারী ক্রিমেই ত্বক পাতলা হয়ে যায় বা ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে। পরে দেখা যায়, তারা রোদে বের হতে পারছেন না বা অন্য কিছু ব্যবহার করতে পারছেন না।

তিনি আরো জানান, রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার শুধু ত্বকের ক্ষতিই করে। তাই ঝকঝকে সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর একটি ত্বকই যথেষ্ট, ফর্সা হওয়া জরুরি নয়।

সূত্র বিবিসি বাংলা

আরএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত