ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাফল্যের মূল মন্ত্র

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৪

সাফল্যের মূল মন্ত্র

আপনি যদি এই আবেগীয় বিষয়টি অনুশীলন না করেন তাহলে আপনার ব্যর্থ হবার সম্ভাবনাই বেশি। তাই আপনার জানা দরকার জীবনে সাফল্য পেতে গেলে নিজের মধ্যে কী কী পরিবর্তন আনতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক...

কৃতজ্ঞতা জানান:

একটি আবেগীয় বিষয় আপনার জীবনের সাফল্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আর তা হল কৃতজ্ঞতা। সব সময় কৃতজ্ঞতার অনুশীলন করলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। যাদের মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোধ থাকে তারা তাদের জীবনের ভাল দিকগুলো সম্পর্কে অবগত থাকে। যেহেতু তারা তাদের সাফল্যের ফল ভোগ করে থাকে, তাই তারা অন্য ক্ষেত্রেও সাফল্য অর্জন করতে উদ্যোগী হয়। যাদের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ থাকে তারা যদি সাফল্য নাও পায়, তারা কিন্তু ঠিকই নিজেদেরকে সামলে নিতে পারে। অন্যদিকে, যাদের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ থাকে না, তারা কখনও সুখী হয় না, তারা কোন কাজ সম্পন্ন করলেও তৃপ্ত হয় না, তাদের কাছে সাফল্য হল তাদের দুর্বলতা ঢাকার একটি ধারাবাহিক প্রয়াস আর তাই তারা যদি কোন কিছুতে ব্যর্থ হয়, তখন তারা আরো তিক্ত হয়ে উঠে, রাগান্বিত হয়ে উঠে ও হতাশ হয়ে যায়। এজন্য যদি আপনি সফল হতে চান, তাহলে আপনার মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ জাগ্রত করতে হবে। কৃতজ্ঞতাবোধ একটি মাংসপেশীর মত, আপনি যতই এটি ব্যবহার করবেন, এটি ততই শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

রাতের অনুশীলন: ঘুমাতে যাওয়ার আগে কৃতজ্ঞতাবোধ অনুশীলন করা শ্রেয়। আপনার ট্যাবলেট পিসি বা মোবাইল বের করে তাতে ঐ দিনের ভাল কাজগুলো লিপিবদ্ধ করুন, যা আপনার ইতিবাচক আবেগকে প্রসারিত করেছে। আপনি যদি কাউকে সাহায্য করে থাকেন, তাহলে তা লিখে রাখুন। আপনি যদি কোন সহকর্মী বা বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে থাকেন, তাহলে তা লিখে রাখুন। আপনার কারণে যদি কারো মুখে হাসি ফুটে উঠে, তাহলে তা লিখে রাখুন। এতে আপনি আপনার মস্তিষ্ককে দিনের ইতিবাচক ঘটনাবলীর আলোকে প্রোগ্রাম করে নিতে পারবেন। যা কিছু ভাল হয়েছে আপনি তার উপরেই ফোকাস করবেন এবং যা কিছু ভাল হয়নি তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। এর ফলে আপনি রাতে ভালভাবে ঘুমাতে পারবেন এবং পরের দিন নতুন উদ্যম নিয়ে ঘুম থেকে উঠে কাজ করতে পারবেন।

আপনার মস্তিষ্ককে রিপ্রোগ্রাম করা: রাতের অনুশীলনের ফলে আপনি কিন্তু আপনার মস্তিষ্ককে এমনভাবে প্রোগ্রাম করছেন যাতে আপনার মধ্যে জীবনের প্রতি আরো বেশি কৃতজ্ঞতাবোধ জাগ্রত হয়। আপনি পরে খেয়াল করে দেখবেন যে আপনার কোন একটি দিন খারাপ গেলেও ঐ দিনে কিন্তু কৃতজ্ঞতা বোধ করার মত অনেককিছুই পাবেন আপনি। আপনি যত দ্রুত এই অনুশীলনী আয়ত্ত করতে পারবেন, ততই ভাল। সময়ের সাথে সাথে আপনার ভেতর গড়ে উঠা কৃতজ্ঞতাবোধ শক্তিশালী হবে এবং আপনি আরো বেশি সাফল্য লাভ করতে পারবেন। তখন সাফল্য আপনার কাছে সুমিষ্ট হবে আর ব্যর্থতার তিক্ততাও কমে আসবে। আপনি অন্যদেরকে আরো বেশি করে ধন্যবাদ জানাবেন যা আপনার জন্য সুফল বয়ে আনবে। বিশ্বাস না হলে অন্তত এক সপ্তাহ এই অনুশীলনী চর্চা করে দেখুন, আপনি অবশ্যই এর সুফল পাবেনই।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত