রাজশাহীতে সবজির দাম অস্বাভাবিক
রাজশাহীর বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে শীতের শাকসবজির দাম। একটানা শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় সবজির ফলন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে। ফলে বেড়েছে দাম।
সবজিচাষিরা জানান, একটানা ১৫ দিন শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন সবজি আবাদের ফল ও ফুল নষ্ট হয়ে উৎপাদন কম হচ্ছে। বাজারে সবজির চাহিদা অনুযায়ী জোগান নেই। ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শীতের সবজির। কৃষিবিদ মনজুরে মাওলা জানান, শৈত্যপ্রাহের কারণে বিভিন্ন সবজির ফুল ঝরে যাচ্ছে, আবার বেগুনসহ কয়েকটি সবজির বৃদ্ধি স্থবির হয়ে আছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে উৎপাদন স্বাভাবিক হবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমি। এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর।
আমগাছি হাটের সবজি বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ কমায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে ৫-১৫ টাকা বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ নতুন ৭০-৭৫, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি আলু নতুন ২২-২৫, পুরাতন ১৮-২০, বেগুন ৪০-৫৫, টমেটো ৪০-৫০, গাজর ৩৫, শালগম ৩০, ফুলকপি ৩৫-৪০, বাঁধাকপি প্রতিটি ২০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা কেজি, শসা ৩০-৪০, বিভিন্ন রকম শাক ১৫-২৫, পেঁপে প্রতি কেজি ১৫, মিষ্টি কুমড়া প্রতিটি ২৫, করলা প্রতি কেজি ৫০, প্রতিটি লাউ-কুমড়া ৩০, প্রতি হালি কলা ২০, লেবু প্রতি হালি ১৫-২০, আদা প্রতি কেজি ৮০, রসুন ৯০, সজিনা ১০০, ঢেঁড়স ৬০, শিম ৩০ ও কাঁচা মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়।
অন্যদিকে রাজশাহীর বাজারে চালের দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত শুক্রবার রাজশাহী মহানগর ও এর আশপাশের বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায় চালের দাম বাড়তি।
নগরীরর কুমারপাড়ার চালের আড়তদাররা জানান, গত সপ্তাহে চালের দাম ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে গুটি স্বর্ণা ৩৫-৩৬, সুমন স্বর্ণা ও পারিজা ৩৮-৩৯, এলসি ৩৮-৩৯, মিনিকেট ৫৮-৬০, আটাশ ৫২-৫৫ টাকা এবং মিনিকেট ৬১-৬৪ টাকায় বিক্রি হয়। আড়তদাররা জানান, গত সপ্তাহে পাইকারি মূল্য এক টাকার মতো কম ছিল। বিক্রেতারা জানান, বোরো ধান বাজারে না আসা পর্যন্ত চালের দাম কমার সম্ভবনা নেই।