ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

টুইটার পোস্টের দায়ে নারী সাংবাদিকের জেল!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৪৯

টুইটার পোস্টের দায়ে নারী সাংবাদিকের জেল!
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্টের হয়রানির শিকার সাংবাদিক মার্থা ও'ডনোভান

জিম্বাবুয়ের স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে ‘উৎখাতের অপচেষ্টা’র দায়ে ২৫ বছর বয়সী এক মার্কিন নারী সাংবাদিককে জেলে প্রেরণ করেছে জিম্বাবুয়ের প্রশাসন। অভিযোগ, টুইটারে মুগাবেকে ‘স্বার্থপর এবং অসুস্থ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ওই নারী সাংবাদিক। দোষ স্বীকারে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে জেলে প্রেরণ করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ওই নারী সাংবাদিকের নাম মার্থা ও’ডনোভান। শনিবার জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারের একটি আদালতে উপস্থিত হলে ৯৩ বছর বয়সী মুগাবেকে ‘পরাস্ত করার চেষ্টা’ এবং ‘অপমানে’র দায়ে অভিযুক্ত করা হয় তাকে।

শুক্রবার সকালে তার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ও’ডনোভানকে গ্রেপ্তার এবং তার ল্যাপটপ জব্দ করে পুলিশ। এর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই দেশটির সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য একজন সাইবার সিকিউরিটি মন্ত্রীকে নিয়োগ দেয়।

প্রসিকিউটরদের দাবি, টুইটারে ‘@matigary’ অ্যাকাউন্ট থেকে গত অক্টোবরের ১১ তারিখে একটি মেসেজ পোস্ট করেন ও’ডনোভান। যেখানে লেখা ছিল, ‘আমরা একজন স্বার্থপর এবং অসুস্থ মানুষের নেতৃত্বাধীন।’ ওই টুইটে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্টের একটি ছবিও সংযুক্ত ছিল।

এদিকে অভিযুক্ত সাংবাদিকের আইনজীবি ওবে শাভা জানান, ‘আমার মক্কেল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তীব্রভাবে প্রত্যাখান করছেন।’ সোমবার হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, হারের ভিত্তিক মাগাম্বা টেলিভিশন চ্যানেলের হয়ে কাজ করেন ও’ডনোভান। চ্যানেলটি নিজেদেরকে রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপাত্মক বলেই পরিচয় দিয়ে থাকে। তাদের প্রযোজিত অনুষ্ঠানগুলো ইউটিউবে প্রচারিত হয়।

এ বিষয়ে মানবাধিকার বিষয়ক একজন আইনজীবি জানান, একটি রিটুইটকে কেন্দ্র করে এই গ্রেপ্তারের ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু সেখানে মুগাবের নাম উল্লেখ করা হয়নি। বরং সেখানে বলা হয়েছে ‘একজন অপদেবতার কথা যার স্ত্রী এবং সৎপুত্ররা একটি রোলস-রয়েস গাড়ি কিনেছে।’

এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি মুগাবের সৎপুত্র একটি রোলস-রয়েস আমদানি করেছেন।

কিন্তু শনিবার কোর্টে উত্থাপিত চার্জশিটে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি টুইটের কথা বলা হয় যেখানে সরাসরি মুগাবেকে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হারারের মার্কিন দূতাবাস জানায়, তারা ও’ডনোভান এবং তার আইনজীবির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছে।

উল্লেখ্য, সামনের বছর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণের মুখ বন্ধ করতেই সৃষ্টি করা হয়েছে দমনমূলক সাইবার সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের। ইতিমধ্যে আগামী নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন ‘জানু-পিএফ’ পার্টির প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছে মুগাবের নাম।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

/এসএস/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত