ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

এইচআইভি পাত্রপাত্রী চাই

এইচআইভি পাত্রপাত্রী চাই

এইচআইভি। এই শব্দ শুনলে আঁতকে ওঠেন অনেকে। শুরু হয় আলোচনা। ভিন্ন চোখে দেখা শুরু করে সমাজ। কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে। আর সে বিষয়টি উল্লেখ করে একটি আর্টিকেল লিখেছেন পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। যার হেড লাইন দেন ‘এইচআইভি পাত্রপাত্রী চাই, ডট কমে বিপ্লব’। আনন্দবাজার পত্রিকায় এটি প্রকাশ হয়।

তিনি লিখেন, এ যেন প্রায় বিপ্লব! যে দেশে এখনও এইচআইভি-আক্রান্ত পাড়াচ্যুত হন, হাসপাতাল ফিরিয়ে দেয়, সে দেশেই সাড়ম্বরে খুলেছে এইচআইভি-আক্রান্তদের জন্য বিয়ের ওয়েবসাইট! সেখানে কোনো কুণ্ঠা বা আড়াল নেই। নেই পরিচয় লুকোনোর চেষ্টা। স্বেচ্ছায় নিজেদের ছবি এবং অন্যান্য তথ্য পোস্ট করছেন পাত্রপাত্রীরা। এক-একটি সাইটের মাধ্যমে বছরে গড়ে ১০০-১৫০ জন এইচআইভি আক্রান্ত পুরুষ ও মহিলার বিয়ে হচ্ছে।

সমাজকর্মীরা মনে করছেন, এইচআইভি নিয়ে ছুৎমার্গ দূর করার এর থেকে ভাল পন্থা হতে পারে না। তাদের মতে, এই সাইটগুলো তৈরি হওয়াতেই বোঝা যাচ্ছে সামাজিক ভাবনায় বদল শুরু হচ্ছে।

ভারতের এক মহারাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করে পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এক ট্রান্সপোর্ট অফিসার অনিল ভালিভ ২০০৬ সাল থেকে একটি সাইট চালু করেন। এখনও পর্যন্ত সেখানে প্রায় আড়াই হাজার এইচআইভি আক্রান্তের বিয়ে হয়েছে। এছাড়া বেঙ্গালুরু থেকে ২০১৩ সালে একটি সাইট চালু করেন ধনঞ্জয় নামে একজন। আর এক সাইটের শাখা রয়েছে গুরুগ্রাম ও কলকাতায়।

এইচআইভি আক্রান্তকে নিয়ে যেখানে তাচ্ছিল্য করা হয় সেখানে এখন খোলাখুলি নাম-পরিচয়-ছবি দিয়ে বিয়ের কথা বলা হয়। এ বিষয়ে পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেন, এখানেই মনোজগতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত।

সমাজবিদ রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরেই ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদ তৈরি হয়। কিন্তু সমাজের অন্দর থেকে সমর্থন না পেলে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এখানে সেই সমর্থনটা মিলছে, সেটাই আশার কথা।

জেডএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত