প্রত্যাহারের নামে দোষী পুলিশকে জামাই আদর না করার দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০১৮, ০০:২৪
বরিশালে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় দোষী পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। একই সঙ্গে দোষী পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের নামে জামাই আদর না করে তদের বিরুদ্ধে মামলা করারও দাবি জানান তারা।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ে ‘আমরা সংবাদকর্মী’র প্রতিবাদী মোমবাতি প্রজ্জ্বালন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।
এসময় অতীতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় দোষী পুলিশ সদস্যদের শুধু প্রত্যাহারের নামে তামাশা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক নেতারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর পুলিশ বাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে পুলিশের উপর মহল থেকে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
তিনি বলেন, দিনে দিনে পুলিশ কর্তৃক বাড়ছে সাংবাদিক নির্যাতন। মূলত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পুলিশের না হওয়ায় এই সংস্কৃতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, দোষী পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে পুলিশের উপর মহলের দৃষ্টি দিতে হবে।
ডিআরইউ সাবেক আরেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ বলেন, একের পর এক সাংবাদিক নির্যাতন প্রশাসনে অপসংস্কৃতি সৃষ্টি হচ্ছে। যে পুলিশ সদস্যরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এই সাংবাদিক নেতা।
শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আমরা সংবাদকর্মী’র ব্যানারে বৃহত্তর কর্মসূচি পালনের করা হবে বলে জানানো হয়।
এর মধ্যে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা না নেয়া হলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিআরইউ’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, সাবেক দফতর সম্পাদক নয়ন মুরাদ, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব প্রমুখ।
‘আমরা সংবাদকর্মী’ ব্যানারে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিবিসি টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার রাজীব ঘোষ, এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার রেদওয়ান ফয়েজ, এসএ টিভির স্টাফ রিপোর্টার বাতেন বিপ্লব, পরিবর্তন ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার ফররুখ বাবু, ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার সোহেল মাহামুদসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, বরিশালে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসির ভিডিও জার্নালিস্ট (ক্যামেরাম্যান) সুমন হাসানকে নির্মম নির্যাতন করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের আট সদস্য। পুলিশ সদস্যরা সুমনের বেল্ট খুলে গলায় পেচিয়ে ফাঁস দেয় এবং তার অণ্ডকোষ চেপে ধরলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন এই ক্যামেরাম্যান।
/এসকে/
