ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

৩ বন্ধুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:১০

৩ বন্ধুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়কের ১১ নম্বর ব্রিজের নিচ থেকে শুক্রবার তিন বন্ধুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক এসআই শফি উদ্দিন শনিবার সকালে অজ্ঞাত নামে কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান।

এর আগে শুক্রবার পূর্বাচল উপ-শহরের আলমপুরা এলাকার তিন নং সেক্টরের ১১নং ব্রিজের নিচ থেকে গুলিবিদ্ধ তিন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । নিহতরা হলেন-সোহাগ, শিমুল আজাদ ও নূর হোসেন বাবু। পরিবারের দাবি ডিবি পরিচয়ে তাদের তুলে নেওয়া হয়েছিলো।

নিহত সোহাগ ঢাকার মহাখালীর নিকেতন বাজার এলাকার শহিবুল্লাহর ছেলে। এছাড়া শিমুল ঝিনাইদহ এলাকার আব্দুল মান্নানের এবং নূর হোসেন মুন্সিগঞ্জ জেলার টুঙ্গিবাড়ি থানার পাইকপাড়া এলাকার আ. ওহাবের ছেলে। এদের মধ্যে শিমুল ও নূর হোসেন ঝুটের ব্যবসা এবং সোহাগ ডিস ক্যাবলের ব্যবসা করতেন।

তিন বন্ধু ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের গোরেলা গ্রামে বেড়ানো শেষে নাইট কোচে ঢাকায় ফিরছিলেন। পাটুরিয়া ফেরিঘাট পার হয়ে মানিকগঞ্জে পৌঁছলে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের যাত্রীবাহী বাস থেকে নামিয়ে দুটি মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিন বন্ধু। সেই সাথে বন্ধ ছিল তাদের মুঠোফোন নম্বরও। একদিন পর গতকাল শুক্রবার সকালে তাদের লাশ পাওয়া যায়।

রূপগঞ্জ থানা পুলিশ বলছে, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পূর্বাচল উপ-শহরের আলমপুর এলাকার ১১ নম্বর ব্রিজ এলাকা থেকে ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।। রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহম্মেদ জানান, নিহত বাবুর পকেটে ৬৫টি ইয়াবা পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, আজাদের বুক, মাথা ও হাতে ৩টি গুলি, সোহাগের হাত, পা ও বুকে ৫টি ও বাবুর মাথায় দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদের পরনে ছিল শার্ট- প্যান্ট ও গেঞ্জি। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এসকে ফরহাদ হোসেন বলেন, গুলির চিহ্ন ছাড়া নিহতদের শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সকালে পূর্বাচল উপশহরের আলমপুর এলাকার ১১ নং ব্রিজ এলাকায় সড়কের পাশে তিন যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ওই এলাকা থেকে তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনেরা রূপগঞ্জ থানায় ছুটে আসেন। তারা এসে নিহতদেরর লাশ শনাক্ত করেন।

এদিকে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে নিহত যুবকদের নির্দোষ দাবি করা হয়েছে । শিমুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার আন্না বলেন, ‘বুধবার বেড়াতে যাওয়ার পথে ডিবি পুলিশ পরিচয় তাদেরকে যাত্রীবাহী বাস থেকে নামিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। তারা কোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’ নিহত তিনজনই বন্ধু ছিলেন। তারা রাজধানীতে ঝুটের (ওস্টেজ কাপড়ের টুকরার) ব্যবসা করতেন।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন বলেন, “সড়কের পাশে তিন যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ লাশগুলো মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।”

  • সর্বশেষ
  • পঠিত