ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইনু সন্ত্রাসের বাদশা : রিজভী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:২৮

ইনু সন্ত্রাসের বাদশা : রিজভী

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে ‘সন্ত্রাসের বাদশা’ আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘জন বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী তথ্যমন্ত্রী আপনি নিজেই। আপনি সন্ত্রাসের বাদশা। জঙ্গি এবং সন্ত্রাস জন্ম ও লালন হওয়ার আগেই আপনি এই বাংলাদেশের মানুষকে চিনিয়েছেন যে জঙ্গিত্ব কাকে বলে।’

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে যুবদলের আলোচনা সভায় রিজভী এসব কথা বলেন।

সরকারের প্রস্তাবিত সম্প্রচার আইনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব প্রস্তাবিত আইনে ভবিষ্যতে ইনুকেই কারাগারে যেতে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, আন্দোলন-সংগ্রাম-গণতন্ত্রের জন্য যিনি আপস করেননি, মাথা নত করেননি, তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত প্রতিক্ষণে জঙ্গি, ক্ষমতা এসমস্ত কথা-বার্তা বলেছেন। এজন্য তো প্রথমেই সম্প্রচার আইনে আপনার (তথ্যমন্ত্রী) তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ কোটি টাকা জরিমানা হওয়া উচিৎ।’

প্রস্তাবিত আইনে অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রকাশ, জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য এই শাস্তি রাখা হচ্ছে বলে খবর পাওয়ার কথা জানিয়েই ওই মন্তব্য করেন রিজভী।

তিনি আরো বলেন, ‘এই আইনের আওতায় তো প্রথমে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর তিন বছরের জেল হওয়া উচিৎ। ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তারেক রহমান মালয়েশিয়ায় কল-কারখানা করেছেন। ৯ বছরে তো প্রমাণ করতে পারেননি যে, মালয়েশিয়া কিংবা লন্ডনে কিংবা ইস্তাম্বুলে তারেক রহমানের কোনো ইন্ডাস্ট্রি আছে। তাহলে এই মিথ্যার জন্য তথ্যমন্ত্রী আপনার প্রথমেই তো প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে হবে, আমি তো এছাড়া অন্য কিছু দেখছি না।’

সম্প্রচার আইন করে সরকার গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই আইন বিরোধী মত ও বিরোধী দল বিএনপির উপর ব্যবহার করা হবে। এজন্যই সম্প্রচার আইন করে বাকশালের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটাতে চাচ্ছেন সন্ত্রাসের বাদশা, অবৈধ সরকারের অবৈধ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।’

তারেক রহমানের বক্তৃতা প্রচারের জন্যই একুশে টেলিভিশনের তৎকালীন আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘এই সরকারের গণতন্ত্রের নমুনা দেখেন। যে টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছিল বক্তৃতা, সেই টেলিভিশনের মালিককে মামলা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছিলে কয়েক বছর। শুধু তাই নয়, সেই টেলিভিশনের মালিকানা কেড়ে নেয়া হয়েছে, বসানো হয়েছে আওয়ামী লীগের ব্যক্তিদের।’

সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে এই আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ছিলেন প্রধান অতিথি।

/এমএম/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত