২০১৪ সালের নির্বাচনের পর বাক্সবন্দি গণতন্ত্র: মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:০১
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা ২০১৪ সালে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করেছে। এবারও যদি সেই ধরণের নির্বাচনের চেষ্টা করা হয় তাহলে সে চেষ্টা হবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা, মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনাকে হত্যার চেষ্টা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। শুধু তাই নয়, যে বা যারা তাদের (সরকার) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কথা বলতে চায়, লিখতে চায় তাদেরকে গুম করে দেয়া হচ্ছে। তাই একটি কথা স্পষ্ট দেশে আগামী নির্বাচন হবে সকল দলের অংশ গ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না, ২০১৪ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অনির্বাচিত সংসদ ধারা তৈরি সংবিধান দেশের মানুষ সমর্থন করে না। তাই সংবিধানের বুলি না তুলে সংলাপ আলোচনার উদ্যোগ নিন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ইসির পরিচালনায় নির্বাচন দিন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিলো দেশে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু আজ সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ দুরের কথা বরং একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল একদলীয় শাসন চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ দেশে আইনাঙ্গণে যে ঘটনা ঘটছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। সরকার নিজের হাতে বিচার ব্যবস্থাকে খণ্ড বিখণ্ড করে দিয়েছে। ফলে এখন সরকার ইচ্ছে করলে যেকোনো বিচারককে অপমান করতে পারবে, অজুহাত দিয়ে বিদায় করতে পারবে।
মওদুদ বলেন, আমরা প্রায় দীর্ঘদিন আন্দোলন করছি না। খালেদা জিয়া সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। বার বার সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো সাড়া দিচ্ছে না। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে। আন্দোলনের পাশাপাশি ও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
জেডএইচ/