ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

খালেদা জিয়ার রায়ের কপি আজও মেলেনি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৪৭  
আপডেট :
 ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:২৯

খালেদা জিয়ার রায়ের কপি আজও মেলেনি
ফাইল ছবি

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি প্রায় এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার পাওয়ার আশা করছেন দণ্ডিত খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর হাই কোর্টে খালেদা আপিল করে জামিনের আবেদন করবেন। তাতে তিনি কারামুক্ত হবেন বলে আশায় আছে বিএনপি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘একটু আগে আদালত থেকে জানিয়েছে জজ সাহেব মাত্র সই করেছেন। এখন বাদবাকি টাইপ করে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেবে।’

তিনি বলেন, ‘কপি দেওয়ার নোটিশ এসেছে, সই আছে, আমরাও দেখলাম।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি বিকেল ৪টায় দেয়া হবে বলে এর আগে সকালে নিশ্চিত করেছিলেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। তিনি জানিয়েছিলেন, সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পরই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে একইসাথে জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন জানান, ৬৩২ পাতার রায় এতো কম সময়ে সার্টিফায়েড কপি সরবরাহ করা কষ্টকর। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত করতে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মূল রায় ৬৩২ পৃষ্ঠা হলেও রায়ের অনুলিপি হবে ছয় হাজার পৃষ্ঠার বেশি। ওই অনুলিপি হাতে আসার পরই জামিনের জন্য আপিল করতে পারবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে ৫ বছর কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। তিনি সেদিন ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়েছিলেন।

এরপর বিএনপির আইনজীবীরা রায়ের অনুলিপি পেতে আবেদন করেন। তা না পাওয়া পাওয়ায় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখতেই রায়ের অনুলিপি দিতে দেরি করা হচ্ছে।

অনুলিপি পাওয়ার পরের ধাপ ওই কপি দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ওই আপিলে জামিনের আবেদন করা হবে। জামিন মঞ্জুর করা হলে ওই আদেশ ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে পাঠানো হবে। এর পরে আদালতে আবার জামিননামা দাখিলের অনুমতি চাইবেন আইনজীবীরা। বিচারক ওই জামিননামা দেওয়ার অনুমতি দিলে খালেদা জিয়ার পক্ষে মুচলেকা (বন্ড) দিতে হবে। তখন একটি রিলিজ আদেশ কারাগারে পাঠানো হবে। ওই রিলিজ আদেশ পাওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবেন, যদি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার না হন।

/এসকে/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত