ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫২ মিনিট আগে
শিরোনাম

দফায় দফায় বৈঠকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৪৮  
আপডেট :
 ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৩:০৮

দফায় দফায় বৈঠকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা

দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল ও জামিনের বিষয়ে কয়েকদফা জরুরি বৈঠক করেছেন তার প্যানেল আইনজীবীরা। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির ভবনের দক্ষিণ হলে সাড়ে ১০টায় তারা প্রথম দফায় বৈঠকে বসেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় তারা বৈঠকে বসেন দুপুর সাড়ে ১২টা ৩৫ মিনিটে।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে সভায় আরো উপস্থিত রয়েছেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

খালেদা জিয়ার এই মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অ্যাড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আপিল ও জামিন করা হবে কিনা আমরা সে বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেবো। দুপুরের মধ্যে আশা করছি, আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো।’

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ১০৯ ধারার অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় রায় ঘোষণা করেন আদালত। ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।

ওই রায়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচ জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলসহ তিনটি পৃথক আবেদন করার বিষয়ে ভাবছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এ নিয়ে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এর আগে বলেছেন, ‘প্রথমে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করবো। দ্বিতীয়ত, আপিল গ্রহণের পর জামিন আবেদন করবো। তৃতীয়ত, নিম্ন আদালতের সাজা স্থগিত চেয়ে আবেদন করবো।’

উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণে বাধা আইনত বাধা থাকবে না বলেও জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী।

তবে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘একজন আইনজীবী হিসেবে আমি বলতে পারি বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ২ বছর সাজাপ্রাপ্ত কোনও অপরাধী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। তবে উচ্চ আদালত যদি উনার (খালোদা জিয়া) জামিন আবেদন গ্রহণ করেন তাহলে তার সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা থাকবে না।’

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এছাড়া, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে দুদক খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

/এসকে/

আরও পড়ুন :

খালেদাকে ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধের নির্দেশ

খালেদা জিয়ার জন্য নাস্তা নিয়ে কারাফটকে নেতাকর্মীরা​

  • সর্বশেষ
  • পঠিত