ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপির সামনে দুটি পথ’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০১৮, ১৯:৪৫  
আপডেট :
 ২২ মার্চ ২০১৮, ২০:০৩

‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপির সামনে দুটি পথ’

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপির সামনে দুটি পথ আছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুটি পথ আছে। একটি আইন, আরেকটি রাজপথ। রাজপথে তো আর আমরা যেতে পারবো না। রাজপথে আমাদের শিরিন, টিরিন, যু্বদল, ছাত্রদল, পার্টি ও বিএনপি করবে। আর আমরা তো থাকবোই। আমাদের নেতৃত্বেই হবে। কিন্তু যা কিছু করার দরকার সেটা তো করতে পারবো না। এর পর হাসি... হা, হা, হা। এরপরও তো আমরা আসামি। আমাদের নেত্রী ৩৬টি মামলায় আসামি। এর মধ্যে বাস পুড়ানো মামলা এবং মানুষ হত্যার মামলাও আছে। আর আমার বিরুদ্ধে ২৩ টা মামলা। মামলার তো শেষ নাই।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, নিম্ন আদালত, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই সরকারের কর্মচারী। হাইকোর্টে বেগম জিয়ার যেদিন জামিন হয়, সেইদিন আইনমন্ত্রী বলছিলেন, বিচার বিভাগ যে স্বাধীন, সেটাই আজকে প্রমাণিত হলো। কিন্তু নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে হাইকোর্টের জামিন অকার্যকর করে দিয়েছে সরকার। এখন আপিল বিভাগও স্থগিত করেছেন। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আমাদের আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মওদুদ আহমদ আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আসবেন এবং যতই কলা-কৌশল করুক (সরকার) না কেনো। আমরা আইনি লড়াই করবো এবং আমাদের আবার রাজপথেও থাকতে হবে। শুধু আইনি লড়াই দিয়ে এ যুদ্ধে জয়লাভ করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না।

দেশে সংকটকাল চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই সংকট শুধু জাতীয়তাবাদী দলের নয়, এই সংকট সমস্ত জাতির। আর যে অবস্থান এখন বাংলাদেশ দাঁড়িয়েছে, তা বর্ণনা করা যায় না! এখন সব কিছুই আছে, কিন্তু কোনো কিছুই নাই। আর ১৯৭৫ সালের যে সাংবিধানিক একদলীয় শাসন ছিল সেটার চেয়ে এখনকার একদলীয় শাসন নিম্ন মানের, নিচু স্তরের এবং অমানবিক।

সরকারি টাকায় জনসভা করে প্রধানমন্ত্রী নৌকায় ভোট চাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী, যিনি একমাত্র ব্যক্তি, যিনি নির্বাচন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয়, সেই নির্বাচন যিনি সবচেয়ে বেশী ভোট পাবেন, তাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এবং তার দলকে পরাজিত করবেন। তিনি (খালেদা জিয়া) জেলখানায়। কী চমৎকার রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অবস্থা বাংলাদেশে বিরাজ করছে!

প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ ও বিচার বিভাগের স্বাধীন নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, সব কিছু আজ মাটির নিচে চলে গেছে!

আমরা বলি বিচারপতিদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আর প্রশ্নই আসে না। কারণ নিশ্চিত করার কোনো পথ এখন আর নেই! সুতরাং গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও আইনের স্বাধীনতা খাতা-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে নাই।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে যত পারো গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে ধ্বংস, দুর্নীতি ও লুটপাট করো মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, এই চেতনা আজ মুছে গেছে। এই চেতনার সংজ্ঞা নেই। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছে।

আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতও উপস্থিত ছিলেন।

কেএস/জেডএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত