ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

'মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ সংবিধান লঙ্ঘন'

'মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ সংবিধান লঙ্ঘন'

সংসদ সদস্যদের (প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপি) সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণার সুযোগ দিলে সেটা স্পষ্টভাবে সংবিধানের লঙ্ঘন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুনলাম ইসি সংসদ সদস্যদের সিটি নির্বাচনে প্রচারণার সুযোগ দিতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা স্পষ্টভাবে সংবিধান এবং নির্বাচনী আচারণবিধির লঙ্ঘন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, ইতিমধ্যে নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের যে প্রান্তেই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপিরা নৌকায় ভোট চাইলে প্রক্ষান্তরে তা সিটি নির্বাচনে নৌকায় ভোট চাওয়ার শামিল। এই কারণে সিটি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপিরা নৌকায় ভোট চাইতে পারবেন না। যদি চান তাহলে সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্ঘন হবে।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়োজিত এক দোয়া ও স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুক পীর সাহেবের সভাপতিত্বে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

'বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক সকল মামলা প্রত্যাহারসহ নি:শর্ত মুক্তির লক্ষ্যে এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব মো. খোরশেদ আলমের স্মরণে' এ দোয়া ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সেনা বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা শুনলান, ইসির এবিষয়ে কোন চিন্তা নেই। আমি ইসিকে বলতে চাই, চিন্তায় আনুন। অন্যথায় সিটিতে জনগণ নির্ভয়ে ও নিজ হাতে তাদের ভোটটা দিতে পারবে না। দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইসির জন্য অগ্নিপরীক্ষা বলেও মন্তব্য করে তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সামনে দুটি পথ আছে। প্রথমত, নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সেই নির্বাচন করতে হবে এবং নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এগুলো চাইবে না। আর আমরা আশাও করি না, কোন স্বৈরাচার ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে এ সুযোগ দিবে। এই সুযোগ আমাদেরকে তৈরী করে নিতে হবে। এজন্য জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আর এখনকার সময় এক নয়। এর মধ্যে নদীতে অনেক পানি গড়িয়েছে। সুতরাং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মত ভোট ও ভোটার ছাড়া আরো কোন পাতানো খেলা হতে দেওয়া হবে না।

জনগণ আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারলে সেখানে আওয়ামী লীগের কোন পাত্তা ও অস্তিত থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, সেই জন্য আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে আবারও ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বারবার জনগণের সাথে প্রতারণা করা যাবে না এবং বোকা বানানো যাবে না।

এদিকে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংসদদের প্রচারণার সুযোগ দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নির্দেশে খুব দ্রুত একটি সভা করেছেন। সেই সভাতে তারা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রচারণার অংশ নিতে পারেন কি পারবেন না। এটা কোন আলোচনার বিষয়বস্ত হতে পারে না। কারণ মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনী প্রচারণার যাবেন, এটার প্রশ্নই উঠতে পারে না।

'খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি' শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফারহানা জাহান নিপা'র সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জাহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয় সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত