ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

সরকারকে চ্যালেঞ্জ রিজভীর

‘তারেক পাসপোর্ট জমা দিলে তা প্রদর্শন করুন’

‘তারেক পাসপোর্ট জমা দিলে তা প্রদর্শন করুন’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি বাংলাদেশী পাসপোর্ট লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিয়ে থাকেন তাহলে সেটি প্রদর্শন করতে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, হাইকমিশন তো সরকারের অধীন, তাদের বলুন সেটি দেখাতে। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে মন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা-আত্মা বিক্রির সমতুল্য।

সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়া পরিবারের কেউ বিদেশীদের বিয়ে করেননি। পৃথিবীর কোনও দেশে তারা কোন নাগরিকত্ব গ্রহণ করেননি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট হাইকমিশনে জমার বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে উড়ো, অবান্তর কথা বলেছে, তার জন্য আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন ‘লন্ডন হাই কমিশনে নিজের পাসপোর্ট জমা দিয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। সে কিভাবে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়’। আসলেই সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও অনর্গল মিথ্যা বলার যে একটি ‘সেন্টার অব এক্সসেলেন্স’সেটি আবারও প্রমান করলেন সেই কেন্দ্রের একজন সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীকে খুশী করতেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নির্জলা মিথ্যা কথাটি বলেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, পাসপোর্ট সারেন্ডার করে তারাই যাদের ছেলে মেয়েরা বিদেশীদের বিয়ে করে বিদেশেই নাগরিকত্ব গ্রহণ করে। বিদেশেই বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত থাকে। প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকী গর্বের সঙ্গে নিজেকে বৃটিশ বলতেই ভালোবাসেন, বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে নয়। আওয়ামী নেতারা নিজেদের সন্তানদেরকে বিদেশীদের সাথে বিয়ে দিয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তথ্যমন্ত্রী প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন-একটা দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক প্রতিবেদন দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের ভাষ্য না নেয়াটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ। তিনি এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখান করেছেন। আমি বলতে চাই-সরকারের ভাষ্য নিলে তো সেটি হবে তাদের একতরফা নির্বাচন ও একতরফা অপশাসনের মতো একতরফা বাকশালী ভাষ্য। তথ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যেই প্রমানিত হয় বাংলাদেশে দু:শাসন চলছে, মানবাধিকার শুন্য বাংলাদেশ- বলেন রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, আতাউর রহমান ঢালি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত