ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিএনপির আশা, প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে ফিরবেন না

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ মে ২০১৮, ১৪:১৩

বিএনপির আশা, প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে ফিরবেন না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশ্চিমবঙ্গ সফর প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আমাদের আশা প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে ফিরবেন না। আমরা আশা করি, তিনি তিস্তার পানি চুক্তি বাস্তবায়ন করেই ফিরবেন। আর না হলে আমরা বলব তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে 'বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি' শীর্ষক এক প্রতিবাদী নাগরিক সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে মওদুদ আহমদ বলেন, খুলনায় পুলিশি নির্বাচন হয়েছে, জনগণের নির্বাচন হয়নি। খুলনায় প্রায় ১০০ কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টরা দাঁড়াতে পারেননি। এখন তারা খুলনা স্টাইলে গাজীপুরে নির্বাচন করতে চায়। তারা যদি সে চেষ্টা করে এবার আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সেটা প্রতিহত করার চেষ্টা করবো। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাদের বাধা দিব- বলে ক্ষমতাসীনদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকার এতো দিন নিশ্চুপ ছিলেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাদের কাছে তালিকা আছে। তাহলে এই অভিযান আগে থেকে চালিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেননি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) কেনো? কারণ হলো, এই মাদক ব্যবসায় তাদের নেত্রীবৃন্দ জড়িত। সুতরাং সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে নির্বিচারে মানুষ মারা শুরু করেছে।

‘গত ৮ মে থেকে ২৫ মে ৫৮ জন মানুষ মারা গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের কি জীবনের কোন মূল্য নেই?’

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিএনপিও মাদক নির্মূল চায়। তবে এর দায়-দায়িত্ব সরকারের। আমাদের এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। কিন্তু যাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে, এরা তো মালিক না। এরা তো বাহক। তারা বিক্রি করে মালিককেই দেয়। সেই মালিক কারা? তারা এই সরকারের মদদপুষ্ট। এভাবে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। মাদক ব্যবসা উচ্ছেদ হোক। কিন্তু মানুষ মারা চাই না।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন,' ইসি সরকারের একটি তলপি বাহক। সরকার যা চাইবে তারা তাই করবে। আচরণবিধি পরিবর্তন করছে। এখন সংসদ সদস্য প্রচারণা চালাতে পারবে। সংসদ সদস্য মানে তো আওয়ামী লীগের। এরা যেন প্রচারণা চালাতে পারে। এটির দূরভীসন্ধিমূলক লক্ষ্য আছে। তারা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এটি করেছে। তারা সংসদ রেখে আগামী নির্বাচন করতে চায়। তাই এই নিয়ম রেখেছে। সংসদ সদস্য থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য করেছে। আচরণবিধি পরিবর্তন করা ষড়যন্ত্রের অংশ।

খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী। এছাড়া সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত