ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

তৃতীয় শক্তি দেশের চিত্র বদলে দিতে পারে: বি চৌধুরী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ মে ২০১৮, ২০:৫৪

তৃতীয় শক্তি দেশের চিত্র বদলে দিতে পারে: বি চৌধুরী

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপরীতে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান মানুষের মনে শান্তি ও দেশের চিত্র বদলে দিতে পারে বলে মনে করেন যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

শুক্রবার রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে পলওয়েল কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর বিকল্পধারা আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বি চৌধুরী বলেন, দেশে শান্তি ফেরাতে তৃতীয় শক্তির বিকল্প নাই। বিগত কয়েক বছরের শাসনের ফলে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই দলের ভিতরে দ্বন্দ্ব ও হিংসার জন্ম হওয়ায় একদিকে সরকার, রাজনৈতিক কর্মীবৃন্দ নির্বাচনউত্তর প্রতিহিংসার ভয়ে ভীত। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি সরকারি দল বিজয়ী হয় তা হলে তাদের নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে একইভাবে শংকিত। উপরন্তু সাধারণ ভোটাররা কোনদিকে ভোট দিয়ে নিরাপদ থাকবেন এ ব্যাপারে তারাও শংকিত।

বি চৌধুরী বলেন, যদি দেশের মানুষ সত্যিকারের বিপদের আশংকাকে উপলব্ধি করতে পারেন এবং দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার খাতিরে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে পারেন শুধুমাত্র তা হলেই এই আশংকাজনক ভবিষ্যতের সম্ভাব্য চিত্র বদলে যেতে পারে।

তিনি বলেন, এই তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি যদি জনগণের সমর্থনে উঠে আসতে পারে, তা হলে তারা বিবাদমান ওই দুইটি রাজনৈতিক দলকে দারুণভাবে প্রভাবিত করতে পারবে। যার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী ভয়াবহ সহিংসতা, হত্যা, অগ্নি সংযোগ এবং সামাজিক অত্যাচারের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা একটি সুন্দর স্থায়ী সমাধানের পক্ষে কাজ করতে চাই। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করি না এবং সব রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে একই আচরণ প্রত্যাশা করি।

নির্বাচনের আগেই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানান সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সব বাঁধা দূর করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমতল ক্ষেত্র ভূমি। এই জায়গায় যদি বিভিন্ন ধরনের বাঁধা থাকে তা হলে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে না। এর জন্য প্রথম প্রয়োজন নির্বাচনের আগেই সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া। তারপর নির্বাচনকালীন সময়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ একটি সরকার এবং প্রমাণিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন। জাতীয় সংসদ এজন্য ভেঙ্গে দিতে হবে যাতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যগণ তাদের পদমর্যাদার সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে না পারেন।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, মাদক এবং অন্যান্য অজুহাতে কারা নিহত হচ্ছেন আমরা তা জানি না। তাদের নাম, পরিচয় জানি না। দাবি উঠেছে এরা রাজনৈতিক কর্মী। যদি বিভিন্ন অজুহাতে রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা এবং জেলে আটক রাখা হয় এবং একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কর্মীদের হাতে ময়দান ছেড়ে দেওয়া হয়, তা হলে সেটা নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র ভূমি হলো না, হবে না।

জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব বলেন, আমরা মাদকের বিরোধী কিন্তু বিনা বিচারে হত্যা সমর্থন করি না। খুলনার নিরবাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। কিন্তু গাজীপুরে এমন কিছু করার চেষ্টা করলে যুদ্ধ বেধে যাবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মাদকের নামে বিনাবিচারে ৫৪ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যারা হত্যা করেছে তাদেরও বিচার করা হবে। তিনি রোজার পর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যুক্তফ্রন্টের সাথে বিএনপিকে রাজপথের আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিকল্পধারার সভাপতি মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কারযকরি সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় নেতা, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, মাহফুজুর রহমান, শাহ আহম্মেদ বাদল, আসাদুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত