ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার দু’জন: নজরুল ইসলাম

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৪১

বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার দু’জন: নজরুল ইসলাম

বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার দু’জন বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

‘দেশে কি সামাজিক আন্দোলন নিষিদ্ধ? বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক সমাজ কর্মী নয়ন বাঙ্গালী পঙ্গুনও ঘর ছাড়া, কেনো তার মা বেগম মেহেরুননেছা হকসহ জেলে বন্দী, এই নির্মমতার শেষ কোথায়’ শীর্ষক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্ব শর্ত হচ্ছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। আর বাংলাদেশে মূলত প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার বা সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হলো দুই জন। তারা হলেন, বেগম খালেদা জিয়া আর শেখ হাসিনা। কিন্তু একজন ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবেন। আর একজন জেলে থাকবেন। এটা কী করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয়?

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছি। সুতরাং বেগম জিয়ার মুক্তি ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর আমরা কোন বিপ্লবী বা ষড়যন্ত্রকারী দল না। আমরা একটা গণতান্ত্রিক দল। আর গণতান্ত্রিক দল ও জোট হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হাত বদল চাই। এজন্য ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। এতে ষড়যন্ত্রের কী আছে? আমরা যে সরকারকে পছন্দ করি না, আমরা যে সরকারের পতন চাই এবং আমরা যে এই সরকারকে পরাজিত করে রাষ্ট্র ক্ষমতা নিতে চাই, এগুলো কী গোপন কথা?

নির্বাচনের নামে কোন খেলায় বিএনপি যোগ দিতে চায় না বলেও জানান নজরুল ইসলাম খান।

খালেদা জিয়ার বিষয়ে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, যেদিন বেগম জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়, সেই দিন ঢাকার শহর অবরুদ্ধ ছিল। কারণ সরকার ভয়ে ছিল। কিন্তু ওই সময়ে চেয়ে সরকারের এখন বেশী ভয়ের কারণ যে, বেগম জিয়া জামিনে মুক্ত হলে কী হবে?

বিএনপির গণতন্ত্রের জন্য অনেক সময় অনেক ছাড় দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি এবারও কিছু কিছু ছাড় দিচ্ছে। আমরা জানতাম, ২০০৮ সালে নির্বাচনে একটি আপোষ হয়েছিল। আর সেই আপোষের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা হবে। আমাদের নেত্রী। তিনি আমাদেরকে বললেন, একটা অগণতান্ত্রিক শাসনের চেয়ে একটা মন্দ গণতান্ত্রিক শাসনও অনেক ভালো। নির্বাচন হয়ে যাক। নির্বাচনের মাধ্যমে একটা সরকার আসুক। সেটা হয়তো ভালো হবে না। তবে অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে ভালো হবে। কিন্তু এত মন্দ অনির্বাচিত সরকার হবে, সেটা তখন বুঝা যায়নি! আমরা সেই ৫ বছর কাটিয়েছি। খুবই কষ্টে কাটিয়েছি। এরপর আমরা ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে যায়নি। কারণ আমরা জনগণকে কথা দিয়েছিলাম, ক্ষমতাসীন সরকারের অধিনে কোন নির্বাচনে যাবো না।

নেতাকর্মীদের প্রতি নজরুল ইসলাম বলেন, আপনারা ভ্যাটের আন্দোলন দেখেছেন, ওই আন্দোলনে সরকারকে নতি স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছে। কোটা আন্দোলনেও সরকারকে ছাত্ররা ব্যস্ত করে ফেলেছিল। আর কয়েক দিন আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করেছে, সেই আন্দোলনে সরকারের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু সবাই পারে। আমরা (বিএনপি) পারি না কেনো?

বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জাতির এবং আন্তর্জাতিকভাবে এত সব নোংরা অভিযোগ রয়েছে যে, কোন ভদ্র সরকার হলে অনেক আগে পদত্যাগ করতো বলে মন্তব্য করেন নজরুল।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা যদি আন্দোলন জোরদার করতে পারি তাহলে অনেক উপকরণ কাজে লাগবে। আর আমরা যদি আন্দোলন করতে না পারি তাহলে কেউ এসে আমাদের জন্য কিছু করবে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আওয়াল খান, শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কেএস/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত