ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঢাবিতে সাংবাদিক হেনস্তা

ছাত্রলীগের বহিস্কৃত দুই নেতাকে হল ছাড়ার নির্দেশ

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০১:৪৬  
আপডেট :
 ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০২:০৩

ছাত্রলীগের বহিস্কৃত দুই নেতাকে হল ছাড়ার নির্দেশ

ঢাকা টাইমসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক নুর হোসাইন সাজ্জাদকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান ও রায়হান রনিকে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। মেহেদী বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও রনি সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

প্রটোকল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনায় করা সংবাদ প্রকাশের জেরে লাঞ্চিত হন ওই সাংবাদিক।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সাজ্জাদের রুমে যান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রায়হান রনি। এ সময় তিনি সাজ্জাদকে বলেন, চল, মেহেদী ভাই তোকে ডাকছে। সাজ্জাদ রুম থেকে বের হতে অস্বীকৃতি জানালে রায়হান তার সাথে দূর্ব্যবহার করেন এবং জোর করে টেনে রুমের বাইরে নিয়ে আসেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সহ-সম্পাদক মিসবাহুল হক ও ভোরের পাতার নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদ জামান।

ঘটনার পর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আসেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তারা এসে এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দোষীরা হলে থাকতে পারবে না বলে ঘোষণা দেন।

এ সময় রেজওয়ানুল হক শোভন বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। কারণ আমাদের এক সাংবাদিক ভাইকে লাঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। এই ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। অাশা করি ভবিষ্যতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।

গোলাম রাব্বানী বলেন, ঘটনাটি অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। সাংবাদিকরা অামাদের বন্ধু, শত্রু নয়। এই ঘটনায় অামরা দুঃখ প্রকাশ করছি। তিনি আরো বলেন, মেহেদী হল ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা। এই ঘটনার দায়ে তাকে অাজকের মধ্যে হল থেকে বের হয়ে যেতে হবে, নইলে অামরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবো। সে বের হতে না চাইলে প্রয়োজনে শাহবাগ থানা থেকে পুলিশ এনে তাকে ধরিয়ে দেয়া হবে। আর রনিও হলে থাকতে পারবে না। তাকেও আজকের মধ্যেই হল থেকে বের হতে হবে। যদি সে এ বিষয়ে অনুতপ্ত হয়, তবেই আমরা তার বিষয়ে বিবেচনা করে দেখবো।

এ বিষয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, মেহেদী হাসানের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। সে যেহেতু হলে বৈধ না, তাকে হলে রাখা হবে না।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগের পিকক বারে মদ নিতে গিয়ে বন্ধ দোকান খোলার জন্য দোকানের কর্মচারিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত