ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইভিএমে ডিজিটাল কারচুপির আশঙ্কা রিজভীর

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৪৫

ইভিএমে ডিজিটাল কারচুপির আশঙ্কা রিজভীর
ফাইল ছবি

ইভিএম দ্বারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন তাড়াহুড়ো করে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। ক্রয় ও সংরক্ষণের জন্য এ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮শ' ২১ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অথচ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির সাথে সংলাপে আওয়ামী লীগ ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও একাধিকবার বলেছেন, সবাই না চাইলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে ক্ষমতাসীনদের অনুকূলে ম্যানিপুলেট করার জন্য ইভিএম ব্যবহার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন সচিবের একটি যৌথ প্রযোজনা। ইভিএম দিয়ে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এতে সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। এ মেশিন দ্বারা ডিজিটাল কারচুপি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গণমাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যক্তির বক্তব্য জনগণের নিকট অঙ্গীকারনামার মতো বিবেচিত হয় বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তার মতে, সিইসি তার প্রতিশ্রুত বক্তব্য থেকে সরে গিয়ে বিশাল ব্যয়ে দেড় লক্ষ ইভিএম ক্রয়ের উদ্যোগ নিচ্ছেন। অপরদিকে কমিশনের সচিব তার বক্তব্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ সংশোধন করে ইভিএম ব্যবহারের বিধান অন্তর্ভুক্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণভাবে জনগণের সাথে প্রতারণা। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আগামী নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর জন্য বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারের পাঁয়তারা করছে সিইসি ও কমিশনের সচিব। নির্বাচন পুরোপুরি জালিয়াতির ওপর সাজাতেই এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। কমিশনের সচিব আওয়ামী লীগ নেতাদের হুকুমই তামিল করেন নির্বাচন কমিশন। সেজন্য তিনি প্রায় প্রতিদিন আওয়ামী লীগের অফিসে বৈঠক করেন।

কোনো অবস্থাতেই আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে দেয়া হবে না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের অশুভ তৎপরতা বন্ধ করতে জনগণ প্রস্তত।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, নির্বাচনের আগেই সরকারের পতন হবে। এমন আলামত দেখে দেশব্যাপী মিথ্যা মামলার ছড়াছড়ি আর নির্বিচারে গ্রেপ্তারের হিড়িক শুরু হয়েছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সরকার এখন শেষ মরণ কামড় দিচ্ছে। কিন্তু তাদের সময় পার হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচন হবে না। আগামী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। এবার গায়ের জোর খাটিয়ে কোনো লাভ হবে না। যতই জেল জুলুম নির্যাতনের পথ বেছে নিক কোনো এন্টিবায়োটিকই আর তাদের টিকাতে পারবে না। তাদের পতন অনিবার্য।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/পিএন/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত