ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি শেখ হাসিনার পদত্যাগ: রিজভী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:৩৫

সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি শেখ হাসিনার পদত্যাগ: রিজভী

দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের একমাত্র গ্যারান্টি শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সব ধরণের সহযোগিতা দেয়া হবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এই বক্তব্য জনগণের মধ্যে হাসির খোরাক যুগিয়েছে। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় প্রধানমন্ত্রী নিজে। সুতরাং ইসিকে তার সহযোগিতা দেয়ার অর্থ হলো, আগামী নির্বাচন ফন্দি-ফিকির করার জন্য যে তিনি সহযোগিতা দেবেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। প্রধানমন্ত্রীর কমিশনকে সহযোগিতা করার অর্থ হলো ইসির আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নালিশ করতে জাতিসংঘে গিয়েছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রিজভী বলেন, উনারা এ ধরণের মিথ্যা কথা বলবেনই। এটা প্রমাণিত। আর ওবায়দুল কাদের যা বলবেন, আপনারা তার বিপরীতটা ধরে নিবেন। সরকার পুলিশী চাপ দিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নৈঃশব্দের ভীতিকর পর্যায়ে নিয়ে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে হবে- প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এই মতবাদের অর্থ হলো, রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেশ অন্ধকারে তলিয়ে দিয়ে হলেও ক্ষমতায় থাকতে হবে। এই মতবাদে বিশ্বাস করেন বলেই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে নিহত মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ ডিঙিয়ে তিনি মন্ত্রী পরিষদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন এবং নিজে মন্ত্রী পরিষদ সচিবের পদ ধরে রেখেছিলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শোনা যাচ্ছে, সামনের দিনগুলোতে সরকার নিজ দলের ক্যাডারদের দিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপরে এর দায় চাপাবে। ককটেল বিস্ফোরণের নানা ধরণের জ্বালাও-পোড়াওয়ের নাশকতা পরিকল্পিতভাবে করা হবে। আর বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে এই নাশকতার দায়ে জড়ানো হবে। এজন্য নাকি আওয়ামী ক্যাডারদের সহযোগিতা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার এক গোপন সহিংস পরিকল্পনার ছক আঁটছে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে জনগণের সামনে নানাভাবে বিভ্রান্ত ও কালিমালিপ্ত করার জন্য। যেভাবে তারা ২০১৪ ও ১৫ সালের আন্দোলনে নিজেরাই নাশকতা করে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়েছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করেন, আজ নয়াপল্টন ভাসানী মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু সভাটি পুলিশ করতে দেয়নি। আপনারা বলবেন, বিএনপি এত বড় দল, কিন্তু তাদের হাতে (পুলিশ) তো অস্ত্র আছে। যা আমাদের নেই।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত