ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিগগির কর্মসূচি দেবে ঐক্য প্রক্রিয়া-বিএনপি-যুক্তফ্রন্ট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৩১

শিগগির কর্মসূচি দেবে ঐক্য প্রক্রিয়া-বিএনপি-যুক্তফ্রন্ট
ফাইল ছবি

'রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেল কী করবে' এসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য চূড়ান্ত করে খুব শিগগির কর্মসূচি ঘোষণা করবে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, বিএনপি ও যুক্তফ্রন্ট। সোমবার রাতে আ স ম আবদুর রবের উত্তরায় বাসায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, বিএনপি ও যুক্তফ্রন্টের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।

বৈঠক চলাকালে মওদুদ আহমদ বের হয়ে এসে সাংবাদিকদেরকে বলেন, শিগগির আমরা আমাদের লক্ষ্য ও কর্মসূচি ঘোষণা করবো। এছাড়া অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছি। তবে সেসব এখন বলা যাবে না।

মওদুদ জানান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, বিএনপি ও যুক্তফ্রন্ট অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে।

রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেল কী করবে, এজন্য গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে নয়টি লক্ষ্য ঘোষণা করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।

লক্ষ্যগুলো হলো: ১. এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক নির্বাহী ক্ষমতা অবসানের জন্য সংসদে, সরকারে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ, ন্যায়পাল নিয়োগ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যকর করা। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও সৎ যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য সাংবিধানিক কমিশন গঠন করা।

২. দুর্নীতি দমন কমিশনকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা হবে। দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি কঠোর হাতে দমন ও দুর্নীতির দায়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা।

৩. বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি, বেকারত্বের অবসান ও শিক্ষিত যুবসমাজের সৃজনশীলতা ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাকে একমাত্র যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা।

৪. কৃষক-শ্রমিক ও দরিদ্র মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সরকারি অর্থায়নে সুনিশ্চিত করা।

৫. জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় সরকারসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতি ও দলীয়করণ থেকে মুক্ত করা।

৬. বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা আনা, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার, সুষম বণ্টন ও জনকল্যাণমুখী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

৭. জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য গঠন এবং প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা ও নেতিবাচক রাজনীতির বিপরীতে ইতিবাচক সৃজনশীল এবং কার্যকর ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা।

৮. সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—এই নীতির আলোকে পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করা।

৯. প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও সমরসম্ভারে সুসজ্জিত, সুসংগঠিত ও যুগোপযোগী করা।

বৈঠক সূত্র জানায়, এসব লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলো চূড়ান্ত করা হবে। আর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য চূড়ান্ত করেই কর্মসূচি দেয়া হবে।

সূত্রটি জানায়, জাতীয় ঐক্যের ঘোষিত লক্ষ্য আরো বিস্তারিত করতে হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য আবারো বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গণস্বাস্থ্য বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ.ব.ম. মোস্তাফা আমীনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত