ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাহীর সঙ্গে ভাইরাল ছবি নিয়ে একি বললেন সাঈদী পুত্র

মাহীর সঙ্গে ভাইরাল ছবি নিয়ে একি বললেন সাঈদী পুত্র

এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং তার ছেলে মাহী বি চৌধুরী যখন নানা টিভি টক শো আর নানা অনুষ্ঠানে জামায়াত নিয়ে আপত্তির কথা জানাচ্ছেন। ঠিক সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদীর সঙ্গে মাহীর এক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে।

এদিকে দেশের কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, শনিবার মাহীর সঙ্গে সাঈদীপুত্রের ভাইরাল হয়ে পড়া ছবিটি প্রসঙ্গে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে বলেন, ছবিটি নাকি সাঈদীপুত্র শখের বশে তুলেছিলেন। শামীম সাঈদীকে তিনি নাকি চেনেনও না বলে জানান।

গণমাধ্যমে দেয়া ছবিটি এবং মাহীর এমন বক্তব্যে শনিবার দিবাগত রাতে শামীম সাঈদী নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেন- ‘ভাইরাল হওয়া ছবিটি গতকালই আমার নজরে আসে। এ ছবি নিয়ে আমার কোনো অনুভূতি তৈরি হয়নি।’

ছবিটিকে আর সব সাধারণ ছবির মতোই মনে হয়েছে শামীম সাঈদীর।

সমসাময়িক রাজনৈতিক খরার মধ্যে থেকেও মাহী বি চৌধুরীর অহমিকাবোধ কমেনি বলেও মন্তব্য করেছেন যুদ্ধাপরাধীর দায়ে দণ্ডিত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীপুত্র শামীম সাঈদী।

কারণ হিসেবে তিনি একটি যুক্তিও তুলে ধরেন। বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কট্টর বিরোধী দল বা মতাদর্শের ব্যক্তিদের সঙ্গে একই মঞ্চে কিংবা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেক বড়মাপের ব্যক্তিদের অহরহ যুগল ছবি থাকে বা আছে। ইন্টারনেট সার্চ করলে এ রকম অসংখ্য বিপরীত মতাদর্শের লোকদের যুগল ছবি পাওয়া যায়। বলা যায়, এটি একটি নিয়মিত সৌজন্যতা বোধ ছাড়া আর কিছুই নয়।’

‘হঠাৎ করেই অনেক আগের তোলা এ ছবিটি কে বা কারা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ছবিটি নিয়ে আমাকে সাংবাদিক প্রশ্ন করবে বা আমাকে কিছু বলতে হবে বা লিখতে হবে এটি আমি মোটেও ভাবিনি। এমনকি বহুল প্রচারিত কিছু দৈনিকে এ ছবি ছাপিয়ে সংবাদ করা হবে সেটিও আমার কল্পনায় আসেনি।’

‘মাহী বি চৌধুরী তাকে চেনেন না’ এ ব্যাপারে শামীম সাঈদী বলেন, ‘মাহী নিজেকে যথেষ্ট উঁচু জায়গায় রেখে কথা বলেছেন। তিনি উঁচু স্তরের মানুষই বটে! তবে মাহী বি চৌধুরী আমাকে চেনেন কি চেনেন না সেটি তিনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি তাকে এবং তার শ্রদ্ধেয় বাবাকে খুব ভালোভাবে চিনি। তার বাবা আমাদের বাসায় কয়েকবার এসেছেন।’

‘তাদের বাসায় আমরাও কয়েকবার গিয়েছি। সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী আমাকে স্নেহ করেন। আমি তাদের শ্রদ্ধা করি।’

গণমাধ্যমে বলা মাহীর বক্তব্যে অহমিকা প্রকাশ পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শামীম সাঈদী। বলেন, ‘জনগণ মাহীর এমন অহমিকা মোটেও পছন্দ করেন না।’

তিনি মাহীর প্রতি অনুরোধ করেন, ‘নিউজ পোর্টালের করা নিউজগুলোর কমেন্টগুলো একটু ভালো করে পড়ুন, তার পর নিজেকে সেই জায়গা থেকে মাপুন।’

ছবিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাধারণত বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরোধী মতাদর্শের ব্যক্তিদের প্রতি পারস্পরিক রাজনৈতিক সম্মানবোধের প্রবণতার সংস্কৃতি খুবই দুর্লভ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এ রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ ঘটিয়ে ছবিটি সুস্থ রাজনীতি চর্চার ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করতে পারত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সাবেক সাংসদ মাহীর প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে- নিজেকে মাপুন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আপনার বাবা, এই স্থান থেকে নয়; নিজের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করুন। নিজের জায়গা বুঝুন তার পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করুন। অন্তত জনগণের হাসির খোরাকে পরিণত না হওয়ার চেষ্টা করুন।’

ওয়াইএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত