ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উত্থাপিতই হয়নি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:০০

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উত্থাপিতই হয়নি

বহুল প্রত্যাশিত সংলাপ হয়ে গেল গতকাল রাতে। সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কাঙ্ক্ষিত এই সংলাপ যেন ফলপ্রসূ হয় এমনটাই আশা করেছিলেন দেশের মানুষ। তবে মানুষ যে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক সংলাপের দিকে তাকিলে ছিলেন সংলাপ শেষ অনেকটাই হতাশের কথা জানালেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে বিএনপিসহ বিরোধী পক্ষের নেতারা।

গতকাল গণভবনে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টাব্যাপী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে বিএনপিসহ ঐক্য ফ্রন্টের ২১ নেতা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা হলেও কেউই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি উত্থাপন করেননি।

শুধুমাত্র ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন সূচনা বক্তব্যে ৭ দফা দাবি প্রসঙ্গে বলেছেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা। তবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়ে তিনি কোন কথা বলেননি। এমনকি সেখানে বিএনপির যে নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন তারাও এ বিষয়টি উত্থাপন করেননি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দাবির মধ্যে তিনটি দাবি সভা সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা ও রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনা করা করলেও খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনের তফসিল পেছানোসহ অন্যান্য দাবি ঐক্যফ্রন্ট থেকে উত্থাপন করা হলেও এগুলোর বিষয়ে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। প্রয়োজন হলে নির্বাচন কেন্দ্রিক আবারও আলোচনার দুয়ার খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন। বিএনপির আরেক নেতা ড. আবদুল মঈন খান তাঁর বক্তব্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। বিরোধী দলের ওপর মামলা, হামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দিতে হবে। তবে কেউই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেননি।

বৃহস্পতিবার গণভবনের এই সংলাপে ড. কামাল এর নেতৃত্বে অংশ নিয়েছিলেন, বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এসএম আকরাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক, আওম সফিক উল্লাহ, মোতাব্বের খান।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নিয়েছেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

এছাড়া ১৪ দলের শরিক দলের নেতাদের মধ্যে থাকবেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের একাংশের হাসানুল হক ইনু ও অপর অংশের মঈনুদ্দিন খান বাদল এবং সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত