ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

হঠাৎ বি. চৌধুরীর বাসায় কাদের সিদ্দিকী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:২১

হঠাৎ বি. চৌধুরীর বাসায় কাদের সিদ্দিকী

শনিবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যখন চলছিলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক। ঠিক সে সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় গিয়ে হাজির।

ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার পর হঠাৎ করেই কেন বি. চৌধুরীর বাসায় কাদের সিদ্দিকী? এমন প্রশ্নে যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা সভাপতির প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রাতে হঠাৎ করেই কাদের সিদ্দিকী আসেন। চা খেয়ে কিছুক্ষণ পরেই তিনি চলে যান।’

তিনি আরো বলেন, বি. চৌধুরীকে জাতীয় ঐক্যে আসার জন্য অনুরোধ করতেই তিনি গিয়েছিলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরীকে নিয়ে কাদের সিদ্দিকী একসঙ্গে কাজ করতে চান। তবে যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান কী বলেছেন, সে ব্যাপারে তিনি জানেন না বলে জানান।

বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হওয়ার সময় কাদের সিদ্দিকী তাদের সঙ্গে থাকলেও ওই জোটে যোগ দেননি। আর বি. চৌধুরীসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। আর সেখানে গত ৫ নভেম্বর কাদের সিদ্দিকী যোগ দেন।

তবে যোগ দেয়ার আগে থেকেই কাদের সিদ্দিকী বি চৌধুরী ও কামাল হোসেনকে এক মঞ্চে হাজির করার চেষ্টা করেছেন। ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার দিনও তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এখন তিনি আসছেন না, পরে হয়তো আসবেন।’

এদিকে ঠিক একই সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও ২৩ দলের জোটের শীর্ষ নেতারা এক জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠক শেষে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে আগামী দুই দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে জোট।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তি, সেটা এখনও পূরণ হয়নি। বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি কাগজে-কলমে রয়ে গেছে। এখনও গ্রেপ্তার, মামলা অব্যাহত। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

রোববারের মধ্যে জোটগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি ইসিকে (নির্বাচন কমিশন) জানাতে হবে, সেক্ষেত্রে ২৩ দল কী করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অলি বলেন, ‘আমরা রোববার চিঠি দেব। সে চিঠির ভাষা হবে এমন, যদি আমরা নির্বাচনে যাই, তাহলে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতীক হবে নিজ দলের। আর অনিবন্ধিত দলগুলোর প্রতীক হবে বিএনপির প্রতীক।’

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত