ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

নেতাকর্মীদের যে নির্দেশনা দিলেন রিজভী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৩১  
আপডেট :
 ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৪৫

নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের আহ্বান রিজভীর

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিতে বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় রিজভী এ আহ্বান জানান।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই যে শান্তিপূর্ণ প্রাণের মেলার ওপর আঘাত করে তারাই অশান্তি সৃষ্টি করলো। আমরা কোনো আক্রমণ করি নাই। কিন্তু আমরা অশান্তি করবো না। পুলিশের এই আক্রমণের আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি, ধিক্কার জানাচ্ছি, তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন।’

রিজভী জানান, মনোনয়ন কেনাবেচার তৃতীয় দিন শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম চলছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তার আসনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য হাজার হাজার কর্মী নিয়ে কার্যালয়ে আসেন। এ সময় পুলিশ দলের নেতাকর্মীদের বাধা দেয় ও লাঠিচার্জ করে। রিজভী বলেন, ‘আমরা শান্তির পক্ষে। বিনা উস্কানিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। গুলি চালিয়েছে। বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সরকার ও পুলিশ উভয়ই সমানভাবে দায়ী। তারপরও আমরা অশান্তির পথে হাঁটব না। সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দেব।’

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সরকারের উস্কানিতে পা না দিতে আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনাদেরকে শান্ত হতে বলেছেন। আপনারা রাস্তা ছেড়ে ফুটপাতে বসে পড়ুন। এটা তারেক রহমানের নির্দেশ।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের ভাই। আপনাদের সাথে বিএনপির কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’

এদিন রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে বড় শোডাউন নিয়ে মনোনয়ন ফরম নিতে আসেন ঢাকা-৮ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস। এ কারণে আশেপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। যান চলাচল ঠিক করতে ওই শোডাউনে নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দুই কর্মীর ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মূলত তার পর পরই সংঘর্ষ শুরু হয়।

পরে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণও ঘটানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও তাদের পাল্টা ধাওয়া করে লাঠিপেটা করে। নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। বিএনপির নেতাকর্মীরা এসময় পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় আহত হন অসংখ্য নেতাকর্মী। আহতদের রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত আরও নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত