ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ড. কামাল-মান্নাদের সমলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

ড. কামাল-মান্নাদের সমলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

‘এক সময় বড় বড়’ কথা বলা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভার সূচনা বক্তব্যে এই সমালোচনা করেন তিনি। তারা সাজাপ্রাপ্ত ও খুনিদের সঙ্গে ঐক্য করেছেন বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

ড. কামাল, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম রবদের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাদের নিয়ে তারা দল করে। তাদের (বিএনপি) দলের গঠণতন্ত্রের সাত অনুচ্ছেদও এখন তারা অস্বীকার করে। যে কোনো সাজাপ্রাপ্ত, খুনি, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ সবাই তাদের নেতা হতে পারে। আর এদের সাথে যারা এখন যুক্ত হয়েছে, তারা বড় বড় কথা বলে এখন দেখা যাচ্ছে তারা এই দলের সাথেই যুক্ত।

বিএনপির নেতৃত্বের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের এগিয়ে যাওয়াটা তারা নস্যাৎ করতে চায়। সাধারণ মানুষ যখন সুখে থাকে, বিএনপির মনে তখন দুঃখ দেখা দেয়। নইলে এতিমের অর্থ আত্মসাত করতে পারে না। এতিমের অর্থ আত্মসাত করেই কারাগারে তাদের নেত্রী। আরেক জনতো গ্রেনেড হামলা, মানি লন্ডারিং… নানান অপকর্ম, তার জন্য সাজাপ্রাপ্ত।

তারপরও নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিএনপিকে সাধুবাদ জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে জনগণকে তিনি সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১০ বছরে যে উন্নয়ন করেছে, তাতে আগামী নির্বাচনেও জনগণের ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে।

নয়া পল্টনের সংঘর্ষের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই চেষ্টা তারা ২০১৪ তে করেছে, সফল হতে পারেনি। আগামীতেও পারবে না। কারণ জনগণ আমাদের সাথে আছে। জনগণ চায়, একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হোক। যে নির্বাচনে তারা ভোট দিয়ে তাদের মন মত সরকার গঠন করবে।

নয়া পল্টনের ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের দায়ী করে বিএনপি যে অভিযোগ করেছে, তা নাকচ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কাজ করার পর উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে দেওয়া, মানে একজনের দোষ আরেকজনের ওপর দেওয়া- এই কাজে তারা পারদর্শী। যেখানে একেবারে ভিডিও ফুটেজসহ দেখাচ্ছে, সেখানে একেবারে চট করে বলে ফেলল (অগ্নিসংযোগকারীরা) আমাদের ছাত্রলীগের…। ছাত্রলীগ, যুবলীগ বিএনপির অফিসের সামনে যাবে কেন? আর চেহারাতো দেখাই যাচ্ছে। সবইতো বিএনপির গুণ্ডারা এবং সন্ত্রাসী বা জামায়াতের গুণ্ডা সন্ত্রাসীরা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত