ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

রংপুরের শ্বাসরুদ্ধকর জয়

রংপুরের শ্বাসরুদ্ধকর জয়

শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ঢাকার প্রয়োজন ১০ রান। স্ট্রাইকে কিয়েরন পোলার্ড। বল হাতে থিসারা পেরেরা। প্রথম দুটি বলই করলেন দুর্দান্ত ইয়র্কার। কিন্তু ওভারের তৃতীয় বলটা ফুলটস পেয়েই বাউন্ডারির ওপারে পাঠিয়ে দিলেন কাইরন পোলার্ড। ছক্কা। ৩ বলে প্রয়োজন ৪ রান। পরের বলটি করার আগে অনেকক্ষণ সময় নিলেন বোলার থিসারা পেরেরা। অধিনায়ক মাশরাফি এসে বুদ্ধি-পরামর্শ দিলেন। ফিল্ডিং সেট করলেন। এরই ফাঁকে বল পরিবর্তন করা হলো। টান টান উত্তেজনা।

পরের দলটিও ফুলটস দিলেন পেরেরা। নিচু হয়ে এসেছিল বলটি। ইয়র্কার দেয়ার চেষ্টা। বল ব্যাটে আসলো। কিন্তু ছক্কা হলো না। ডিপ মিড উইকেটে বল চলে গেলো। নিশ্চিত সিঙ্গেল নেয়ার মত। পোলার্ড অপর প্রান্তে থাকা মোহাম্মদ আমিরকে থামতে ইশারা করলেন। রান নিলেন না। তার ইচ্ছা, কোনো একটি বিগ শট খেলে দলকে জিতিয়ে দেবেন।

পঞ্চম বলটি ফুল লেন্থের ইয়র্কার। পোলার্ড তখন বড় শট খেলতে মরিয়া। নিচু হয় আসা বলটি ব্যাট ফাঁকি দিয়ে গিয়ে মিডল স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিল। ঢাকা ডায়নামাইটসের জয়ের আশা তখনই শেষ।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসলেন আবু হায়দার রনি। ১ বলে দরকার ৪ রান। আরও একটি ইয়র্কার দিলেন পেরেরা। মাত্র ৩ রানের অসাধারণ এক জয় পেয়ে গেলো রংপুর রাইডার্স। নিশ্চিত হারতে থাকা ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসলো মাশরাফির রংপুর।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে রংপুর। ব্যক্তিগত ৬ রান করে ম্যাককালাম ফিরে গেলেও থেমে থাকেনি গেইল ঝড়। আগের দিন সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ঝড়ো ইনিংস খেলেন গেইল। আজও তার একই রূপ দেখল দর্শকরা।

কিন্তু গেইলকে খুব বেশি বাড়তে দেননি ঢাকার মোসাদ্দেক হোসেন। অর্ধশতকের পর পরই গেইলকে বিদায় করেন মোসাদ্দেক। আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৫ চার ৪ ছয়ে দলকে উপহার দেন ৫১ রানের ঝলমলে ইনিংস।

এরপর মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে আসা শাহরিয়ার নাফিস মাত্র ৯ রান করেই সাজঘরে ফিরেছেন। তবে মাশরাফি ১ চার ১ ছয়ে খানিকটা ঝড়ের আভাস দিলেও নিভে গেছেন খুব দ্রুত। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২ রান যোগ করেন মিথুন। রংপুর ১৯.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তোলে ১৪২ রান। ঢাকার পক্ষে একাই ৫টি উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। ২টি উইকেট দখলে নিয়েছেন আফ্রিদি। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মোসাদ্দেক এবং আমির।

জবাব দিতে নেমে ‍শুরুটা বেশ বাজে হয় ঢাকার। শূন্য হাতেই সুনীল নারাইনকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। সুবিধা করতে পারেননি সাকিবও। গাজীর বলকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন ঢাকার অধিনায়ক। তৃতীয় উইকেটে জহুরুলকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা চালিয়ে যান এভিন লুইস। দুজন মিলে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ২৮ রানের মাথায় লুইসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন গাজী। এ ছাড়া জহুরুলের ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ রান, শহিদ আফ্রিদি করেছেন ২১ রান। রংপুরে হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, থিসারা পেরেরা এবং সোহাগ গাজী। খালি হাতে ফেরেননি মালিঙ্গাও।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত